|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
রাঙামাটিতে শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের দায়ে ১০ লাখ টাকা অর্থ দন্ড সহ এক প্রধান শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল'র বিচারক এ.ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত ব্যক্তি হলেন, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (৪৬) । সে লংগদু করল্যাছড়ি আর.এম.উচ্চ বিদ্যালয়'র প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও রাষ্ট্রপক্ষের মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ভূক্তভোগী ১৬ বছর বয়সী চাকমা মেয়ে ২০২০ সালে এসএসসি পাস করে। গত ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সকালে ছাগল খুঁজতে বের হয়ে স্কুল ছাত্রাবাসের রাস্তা ধরে চলার পথে দিয়ে আসামি স্কুলছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। শিক্ষার্থী সরল মনে শিক্ষকের সাথে তার কক্ষে গেলে, দরজা বন্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় ছাত্রাবাসে কোনো ছাত্রই ছিলো না। এমনকি ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ছাত্রীকে হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক। ঘটনার দুইদিন পর ভিকটিম ঘটনা তার মায়ের কাছে প্রকাশ করে। এরপর স্থানীয় কারবারী,বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অবগত করলেও তারা কোনো ধরনের সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ায় নয় দিনের মাথায় ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে লংগদু থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুর রহিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে দশ লাখ টাকা জরিমানা সহ অনাদায়ে আরও তিনবছর সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে বিজ্ঞ আদালত। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল'র বিচারক এ.ই এম ইসমাইল হোসেন মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত আসামীর নাম মোহাম্মদ আব্দুর রহিম(৪৬)। সে লংগদু করল্যাছড়ি আর.এম.উচ্চ বিদ্যালয়'র প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি স্থানীয় মাইনীমূখ
মুসলিম ব্লক গ্রাম'র মো.আবু ছায়েদ'র ছেলে।
আদালতে রায়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (পিপি) সাইফুল ইসলাম অভি বলেন,'আসামিকে ২০০০এর ৯(১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে যাবতজীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ লাখ টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।জরিমানার সেই অর্থ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিধি মোতাবেক জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। আসামির নিকট থেকে আদায়কৃত জরিমানার অর্থ মামলার শিশু ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে।'
আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোখতার আহম্মদ বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আশা রাখি উচ্চ আদালত থেকে সুষ্ঠু রায় পাবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০