|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
রাঙামাটিতে ধর্ষণ মামলায় সোমবার ২ জনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। দন্ডিত ২ জন হলেন, মো: ইউসুফ ও ছিদ্দিক ময়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত মো.ইউছুফ ও মো.ছিদ্দিক মিয়া কাপ্তাই হ্রদের মাঝখানে সাম্পানে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে, ভিকটিম পরিবার মো: ইউসুফ ও ছিদ্দিক ময়া'র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে দুই আসামির মধ্যে মো. ইউসুফকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে হাজির করলে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ বছরের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ১৯৮৩ সালের নারী নির্যাতন অধ্যাদেশ ৪ এর (গ) ধারায় আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করেন। এবং তাদের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় রাঙামাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক মো.সহিদুল ইসলাম'র আদালত ১৪ বছরের সাজা ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা'র রায় ঘোষণা করেন। সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালত এই রায় প্রদান করেন। আসামীদের দু'জনের মধ্যে ছিদ্দিক মিয়া পলাতক রয়েছে এবং মো.ইউসুফ রাঙামাটি জেলা কারাগারে রয়েছেন।আদালত আসামী ছিদ্দিক মিয়া পালাতক থাকায় তাকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য শহরের রিজার্ভ বাজারের পুরানবস্তি এলাকার বাসিন্দা মোঃ ইউছুপ ও লংগদু’র গুলশাখালীর বাসিন্দা ছিদ্দিক মিয়া কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে পারাপারের সাম্পানে ফেলে গণধর্ষণ করে। সেই ঘটনা প্রকাশ করলে, প্রান নাশের হুমকি দিয়ে স্কুল ছাত্রী ও শিশু সাম্পান চালককে ছেড়ে দেয়। এরপর শিশু সাম্পান চালকের মাধ্যমে ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে । এই মামলা দায়েরের দীর্ঘ ৩১ বছর পর সোমবার বিজ্ঞ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রাঙামাটি জেলা পি পি অ্যাডভোকেট মো.রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এটি একটি সন্তোষজনক রায় হয়েছে। এর মাধ্যমে ভিকটিম ন্যায় বিচার পেলো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০