———
একটি বাড়ি, এক খন্দ্র জমি ক্রয় করা একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া আর এই বিশেষ পাওয়া টুকু পেতে হলে একটি সাব-রেজিস্টার অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জরুরি সেবা পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আর এই সেবা প্রদান করে থাকেন সাব-রেজিস্ট্রেশন অফিসের সাব-রেজিস্টার থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সব দলিল রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রি করা হলে মালিকানা নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকে না। কেউ অবৈধ উপায়ে দখল করতে চাইলেও বিরোধ এড়ানো যায়। এ ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি করা থাকলে পরে বিক্রি, দান ও উইল করতে সহজ হয়।বিশেষ করে ঢাকা জেলার জমি রেজিস্ট্রেশন করতে সাধারণ ভাবে আম মোক্তার সাধারণ মানুষ ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে এক সাথে ১২ টি সাব-রেজিস্টারের কার্যালয় আছে এই সকল অফিসে ঢাকা জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানার (মৌজার)জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয় আমমোক্তার ও সাধারণ মানুষ জমি ক্রয় কিংবা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন না বরং উপযুক্ত মানের সেবা নিতে পারেন।
জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়মকানুন সম্পর্কে সব চাইতে ভালো জানেন একটি রেজিস্ট্রেশন অফিসের সাব-রেজিস্টার এছাড়াও একজন ওমেদার জমি রেজিস্ট্রেশন করতে দলিলের বিভিন্ন কাগজপত্র চেক করা থেকে দলিল রেজিস্টি হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সেবা প্রদান করে থাকেন।
কোন কোন দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে হয়?
বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যেমন- বিক্রয় দলিল অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে।
জমি ক্রয় করার আগে বায়না দলিল করলে ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিতে হবে। রেজিস্ট্রি ছাড়া বায়না দলিলের আইনগত মূল্য নেই।
বায়না দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ থেকে এক বছরের মধ্যে বিক্রয় দলিল সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করতে হবে।
এছাড়াও হেবা বা দানকৃত সম্পত্তির দলিলও রেজিস্ট্রি করতে হবে।।এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনগণের জন্য খুবই সেবা মুলক কাজ।এই কাজগুলো সাধারণত একটি সাব-রেজিস্টার অফিস থেকে পাওয়া যায়।এই ধরনের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি সাব-রেজিস্টার অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে কেরানী,ওমেদার ও নকল নবিশ সকলেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বন্ধককৃত জমির দলিল রেজিস্ট্রি করতে হবে।
কোনো ভূমি সম্পত্তি মালিকের মৃত্যু হলে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি বাটোয়ারা করা এবং ওই বাটোয়ারা বা আপস বণ্টননামা রেজিস্ট্রি করতে হবে।
কী কী লাগবে?
জমি রেজিস্ট্রি করতে বিক্রীত জমির পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ থাকতে হবে।
দলিলে দাতাগ্রহীতার পিতা-মাতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সাম্প্রতিক ছবি সংযুক্ত করতে হবে।যিনি জমি বিক্রয় করবেন, তার নামে অবশ্যই উত্তরাধিকার ছাড়া নামজারি থাকতে হবে। দলিলে বিগত ২৫ বছরের মালিকানাসংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও কার কাছ থেকে কে কিনল, সে বিবরণ লেখা থাকতে হবে।
সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য, সম্পত্তির চারদিকের সীমানা, নকশা দলিলে থাকতে হবে।
যিনি কিনছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো কাছে এই জমি বিক্রি করা হয়নি মর্মে হলফনামা থাকতে হবে।জমির পর্চাগুলোতে সিএস, এসএ, আরএস মালিকানার ধারাবাহিকতা (কার পরে কে মালিক ছিল) থাকতে হবে।
প্রয়োজন হলে বায়া দলিল সংযুক্ত করতে হবে।
■নোট■
উপরোক্ত লেখা সমূহ বিভিন্ন জমি রেজিস্টি ও ভুমি ক্রয় বিক্রয় আইনের বিধান অনুযায়ী ডকুমেন্ট থেকে সংকলন করা হয় আরো কিছু লেখা লেখক নিজের চেষ্টায় রেজিস্ট্রেশন অফিসে কর্মরত আছেন এমন কিছু লোকের কাছ থেকে জেনারেল ও দেখেছেন।
——-
লেখক সাংবাদিক
মোঃ ফিরোজ খান
ঢাকা তেজগাঁও