আদালত প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে চেক জালিয়াতির মামলায় এক ইউপি সদস্যকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত ।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ০২ এর বিজ্ঞ বিচারক আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া সীতাকুণ্ড থানার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ বাদশা মিয়া'র পুত্র।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানার ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ।
মামলার আর্জি সুত্রে জানা যায় বাদী মহিউদ্দিন আহম্মদ বিগত ২৩/০৫/২০২৩ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে চেক জালজালিয়াতির মামলা দায়ের করেন। যাহার সি আর মামলা নং ৪৪০/২০২৩ (সীতাকুণ্ড) হয় । বিজ্ঞ আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করতঃ আসামীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম জেলাকে নির্দেশ দেন।
পিবিআই বিগত ২০/১১/২০২৩ইং তারিখ চেক জালিয়াতির ঘটনা সত্য মর্মে রিপোর্ট দাখিল করেন । বিজ্ঞ আদালত পিবিআই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আসামীর বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৪১৭/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৪/৫০৬ ধারার অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। বৃহ:পতিবার আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত দো-তরফা শুনানী শেষে আসামীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণে নির্দেশ দেন ।
অভিযোগের বর্ণনা মতে জানা যায়, অত্র মামলার বাদী/অভিযোগকারীর আসামীর কোন ধরনের চেনা-জানা কিংবা কোন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য লেন-দেন নেই ও ছিল না। বিগত ২২/০৪/২০২৩ইং তারিখে বাদীর নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাব ‘ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ’ হিসাব নম্বর- ২০৭১১৩১০০০০০০৭৬ এর চেক নম্বর- ঊ-১৪৮৫৯৬০ চেকখানা অলিখিত, স্বাক্ষরবিহীন তারিখবিহীন অবস্থায় সীতাকুন্ড থানাধীন কদমরসুল বাদীর দোকান থেকে হারিয়ে যায়। উক্ত চেকখানা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৪/০৪/২০২৩ইং তারিখে বাদী উক্ত চেকখানা হারানো বিষয়ে স্থানীয় সীতাকুন্ড থানায় একখানা সাধারণ ডায়েরী করেন । পরবর্তীতে বাদীর উক্ত হারানো চেকে এই আসামী প্রতারনা, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করত: বেআইনি ভাবে লাভবান হওয়ার কু-মানসে চোরাই চেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব হওয়া সত্ত্বেও মনগড়াভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম “এম.এম ট্রেডিং’ নামে জাল সীল বানিয়ে এই বাদীর স্বাক্ষর জাল করিয়া উক্ত চেকে ৩,২০,০০,০০০/- (তিন কোটি বিশ লক্ষ) টাকা সংখ্যায় এবং কথায় লিখে তাতে তারিখের ঘরে ২৪/০৪/২০২৩ইং পুরণ করে এম.আই.সি.আর চেকে সীল স্বাক্ষর করিয়া মূল্যবান জামানতে রূপান্তর করে উক্ত চেক আসামীর নামীয় ব্যাংক হিসাব “মেঘনা ব্যাংক লিঃ” আগ্রাবাদ, শাখা চট্টগ্রামে জমা করলে তা ডিজঅনার হয়। উক্ত চেকখানা জাল জানা সত্ত্বেও তা খাঁটি হিসাবে এই আসামী ব্যবহার করে এবং তার দখলে রেখেছে ।
এ বিষয়ে অবগত হয়ে বাদী উক্ত জালজালিয়াতির বিষয়ে আসামীকে প্রশ্ন করলে আসামী বাদীর সাথে কোন ধরনের আপোষ মীমাংসা করবে না উল্টো উক্ত হারানো চেকখানা দ্বারা বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা করে চেকে লিখিত ৩,২০,০০,০০০/- টাকা বাদীর নিকট হতে আদায় করবে বলে হুমকি দেয় । চেকটি সিগনেচার ডিফার ও মিসিং মন্তব্যে ফেরত আসা সত্ত্বেও প্রতারণার আশ্রয়ে টাকা দাবী করা হয় ।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনবিদ এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোঃ বদরুল হাসান ও এডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন (আরমান) প্রমুখ ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০