আদালত প্রতিবেদক,চট্টগ্রাম :
অদ্য চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক মেহনাজ রহমান এর আাদালত এক স্ত্রী বহাল থাকাবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণের অপরাধে এক ব্যক্তির সাজা প্রদান করেছেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামী কক্সবাজার জেলার উখিয়া ধানাধীন রতœা পালং মাস্টার বাড়ি এলাকার জনৈক সামশু উদ্দিন মাহমুদ এর পুত্র আহসান উদ্দিন মাহমুদ কে ১বছর কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকার অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন। বাদীনির অভিযোগে প্রকাশ, বাদী সুমি আক্তার (ছদ্মনাম) এই আসামীর বিরুদ্ধে বিগত ১৪/০৩/২০১৫ইং তারিখে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৬(৫)/খ ধারায় বিজ্ঞ চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। পরবতীতে মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালত মেহনাজ রহমান এর আদালতে বদলি হয়। আদালত মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৬(৫)/খ ধারার অপরাধে আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পরবর্তীতে সাক্ষীর জেরা, জবানবন্দি,সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অদ্য ১৩/১০/২০১৯ইং তারিখে যুক্তিতর্ক শুনানী এবং রায়ের জন্য দিন ধার্য্য করেন। অদ্য আসামীপক্ষ সময়ের আবেদন করলে বাদীপক্ষের বিজ্ঞ কৌশুলীর বক্তব্য শুনে আসামীপক্ষ ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে সময় নেয়ায় আজ সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে এক স্ত্রী বহাল থাকাবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণের অপরাধে আসামী আহসান উদ্দিন মাহমুদ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে ১বছর কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকার অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ২মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। মামলাটি ২০১৫ সালের হওয়ায় দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অদ্য রায়ে নিষ্পত্তি হয়।
উল্লেখ্য আসামী অদ্য আদালতে হাজির না থাকায় গ্রেফতার হওয়ার দিন থেকে কিংবা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পনের তারিখ থেকে সাজা কার্যকর হবে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মানবাধিকার আইনজীবী যথাক্রমে- এডভোকেট এ.এম জিয়া হাবীব আহসান,এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ আহমদ, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী,এডভোকেট বদরুল হাসান প্রমুখ। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ ছমি উদ্দিন এবং এডভোকেট মোঃ ইছা চৌধুরী ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০