মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা :
লকডাউন ঘোষনাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেয়াঁজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক’দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা । যে পেঁয়াজ গতকাল শনিবার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ টাকা কেজি দরে। আজ রবিবার সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে। বাজারে আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও সোমবার থেকে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষনা দেওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। প্রশাসনের দাম মনিটরিং না করায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেয়াঁজের দাম আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ায় হতভম্ব হয়ে পড়েছে ক্রেতারা। হিলি বাজারের ক্রেতা লুৎফর রহমান, মতিয়ার রহমান জানান, পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে গতকাল শনিবার পেয়াজ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সরকারী ভাবে বাজার মনিটরিং না থাকায় পেঁয়াজ এখন সাধারন ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এক রাতেই ৫ থেকে ৬ টাকা কেজিতে দাম বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা।
হিলি কাঁচামাল আমদানিকারক গ্রুুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ জানান, সরকার নতুন করে ইমপোর্ট পারমিট না দেওয়ায় দিন দিন পেঁয়াজ আমদানি কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত গতকালে এবং সরকার ইমপোর্ট পারমিট না দিলে রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই পেঁয়াজের বাজার স্মৃতিশীল রাখতে নতুন করে তারা ইম্পোট পারমিমটের দাবী জানান। তিনি আরও বলেন সরকার ৭ দিন লকডাউন ঘোষনা করায় সাধারন ক্রেতারা বেশি বেশি করে পেঁয়াজ ক্রয় করার কারণেই বাজারে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।
এদিকে হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুর-এ আলম জানান, কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে বিক্রেতাদের চালান পরিক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে মুল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য নিধারিত মুল্য নিধারণ করে দেওয়া হবে। এরপরেও কেউ মুল্য বেশি নেয় তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।