মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
করোনার ভাইসারে কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি দুইমাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে রেল পথে। ভারতের নাসিক থেকে ২য় চালানে ৪২টি বগিতে ১ হাজার ৭ শত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দরে। মালবাহী ট্রেন থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাস করে নেওয়া হচ্ছে। আর বন্দরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে গেলো দুই দিনের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা।
পেঁয়াজ বোঝাই মালবাহী ট্রেনটি দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। ভারতের নাসিক থেকে পেঁয়াজের ২য় একটি বড় চালান নিয়ে সোমবার ভারতীয় মালবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশন পৌঁছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ। আর এতে করে কমে আসছে পেঁয়াজের দাম। ক্রেতা সাধারণ কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানীকারক সাইফুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয় এবং বাজারে দাম বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর জন্য এলসি করা হয়। এরপর নাসিক থেকে দর্শনা হয়ে ২য় চালানে ৪২টি বগিতে ১ হাজার ৭ শত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে হিলি বাজারের আড়ৎ ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গেলো দ্’ুদিন আগেও এখানকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকার ভেদে ৪৬ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে একদিনে হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ কমেছে। এবং ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে দীর্ঘদনি বসে থাকা শ্রমিকদের মাঝে কর্র্মচাঞ্চল ফিরে আসায় খুশি সংশ্লিষ্টরা।