আব্দুর রহিম রানা :
হঠাৎ করেই যশোরের মণিরামপুর বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০ টাকা, রোববার (১ মার্চ) সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৩২-৩৫ টাকা।
তবে, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০
টাকা দরে। রোববার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন
চিত্র দেখা গেছে।
হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি
ফিরলেও অসস্থিতে আছেন চাষিরা। নিত্য দর পতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে কোন কোন ব্যবসায়ীকে।
ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেওয়ায় দর পতন
হয়েছে বলে কৃষি অফিস ও ব্যবসায়ীদের দাবি। তবে কোন কোন ব্যবসায়ী বলছেন, বাজারে ব্যাপক হারে নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম কমেছে।
ক্রেতা হৃদয় জানান, তিনি ৪০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। অথচ কয়েকদিন আগেও তিনি পেঁয়াজ কিনেছেন ৭০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি এই ক্রেতা।
গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌসী সুইটি বলেন, গত শুক্রবার এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৭০ টাকায়। দাম কমায় এবার মানুষ শান্তিতে পেঁয়াজ খেতে পাবরে।
টেংরামারী বাজারের চা বিক্রেতা আজগার আলী বলেন,
আজ (রোববার) এই বাজারে ৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
মণিরামপুর কাঁচা বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আক্তার
হোসেন বলেন, গতকাল ৪৫ টাকা করে কেনা পেঁয়াজ আজ (রোববার) পাঁচ টাকা লসে ৪০ টাকায় বেচতে হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ঢোকায় দাম এমন কমেছে বলে জানান তিনি।
তবে,মণিরামপুর বাজারে কোন দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজের দেখা মেলেনি।
মেসার্স সরদার সবজি ভান্ডারের মালিক আব্দুল মান্নান
বলেন, (রোববার) ৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি
করেছি। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৫৫-৬০ টাকা।
এদিকে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় পেঁয়াজ তোলা বন্ধ
করে দিয়েছেন কৃষকেরা। চালুয়াহাটি এলাকার কৃষক আব্দুর
রশিদ বলেন, এবার এক একর জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম।
৫-৭ কাটা পেঁয়াজ তুলেছি। দাম কমে যাওয়ায় তোলা বন্ধ
করে দিয়েছি।
মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার আমাদের প্রতিনিধি আব্দুর রহিম রানাকে
বলেন, এবার মণিরামপুরে ২৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে; যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি। পেঁয়াজের ফলনও হয়েছে ভাল। এখনও সেভাবে নতুন পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়নি।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষণা দেওয়ায় দামের এ অবস্থা।
পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা করে হলেও কৃষকের লোকসান হবে না বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০