মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কমেছে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৪০ টাকা। প্রকার ভেদে ২০০ টাকা মরিচ এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দামে। বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় এবং বাজারে দেশি কাঁচামরিচ উৎপাদন হওয়ায় কমতে শুরু করছে কাঁচামরিচের দাম, এমনটিই বলছে আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মাল আমদানিকারক মনোয়ার হোসেন জানান, ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি বৃদ্ধি ও দেশি মরিচ বাজারে আসায় কাঁচা মরিচের দাম কমে গেছে। আমি মরিচ ব্যবসায়ীদের নিকট ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুইদিন আগে চেয়ে বর্তমান বাজারে ৪০ টাকা কম দামে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার ১৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ পাইকারী ক্রয় করে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দরে। আজ খুচরা ব্যবসায়ীরা ১৫০ টাকা দরে পাইকারী কিনে বিক্রি করছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। আবার পাইকারী ব্যবসায়ীরা ১২০ টাকা দরে কাঁচামরিচ আমদানিকারকদের নিকট ক্রয় করে ১৫০ টাকা দরে খুচরা ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রি করছে তারা।
হিলি বাজারের পাইকারী কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচামরিচের দাম আগের চেয়ে অনেকটাই কমে গেছে। আমরা আমদানি কারকদের নিকট থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে ১৪০ টাকা দরে বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছি।
হিলি বাজারের খুচরা ব্যাবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী, যে দামে কিনি, সেই দামে বিক্রি করছি। দুইদিন আগে ১৮০ টাকা কিনে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আজ ১৫০ টাকা দামে মরিচ কিনে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
কথা হয় বাজারে সবজি কিনতে আসা দিনমজুর তাহের আলীর সাথে, তিনি বলেন, দুইদিন আগে ২০০ টাকা কাঁচামরিচের দাম ছিলো। আমি গরীব মানুষ তাই ২০ টাকা দিয়ে মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনে ছিলাম। আজ দাম কমে গেছে তাই আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনলাম।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০