মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা ঃঃ
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই ১৪টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর আর কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। এই খবরে বন্দরের মোকামে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।
বন্দরের ব্যবসায়ি মোবারক হোসেন জানান, ভারতের হিলির স্থানিয় ব্যবসায়িরা আমাদের ফোন করে জানিয়েছেন ভারতে ব্যাপক ভাবে বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানে পেঁয়াজের সঙ্কট হওয়ায় দাম কয়েকগুন বেড়ে গেছে। এতে ভারত সরকার গতকাল রোববার বিকেলে এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে কাষ্টমস কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি না করার জন্য আদেশ জারি করেছে। এরফলে বিকেল ৪টার পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৪টি ট্রাক বন্দরের গেট দিয়ে প্রবেশ করে। শতাধিক ট্রাক প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে ও পার কাস্টমস এলাকায়।
তিনি আরও জানান, প্রায় এক মাস আগে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি মুল্য ২৫০-৩০০ মার্কিন ডলার থেকে ৮৫২ ডলার নির্ধারণ করে।এরপর থেকে আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। রোববার বিকেলে এই আদেশ পাওয়ার পর ব্যবসায়িরা হতাশ হয়ে পড়েছে।কারণ অনেক ব্যবসায়ির এলসি করা আছে, তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ১৪টি ভারতীয় ট্রাকে ২৬৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।আর কোনো ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি। শনিবার ১৯টি ট্রাকে ৪৩৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবরে বন্দরের পানামা পোর্টে পাইকারিতে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। ফলে কেজিতে দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। গত শনিবার বেচা-কেনা হয়েছে ৪৭-৫০ টাকায়।
রোববার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না এমন খবর পাওয়ার পর আমদানি কারকরা ইচ্ছে মত পেঁয়াজের দাম হাকাচ্ছেন পাইকাররা অভিযোগ করেন।
পাইকারি ব্যবসায়ী আহম্মদ আলী জানান, হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানি কারকরা বন্দরের বিভিন্ন বে -সরকারী গুদামে পেঁয়াজ মজুদ করে রেখে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টিসহ দাম বৃদ্ধি করছে।তারা পাইকারী পেঁয়াজ ক্রয় বরতে এসে রিক্ত হস্তে ফিরে যাচ্ছে।গুদামে পিয়াজ মজুদ থাকার পরও বিক্রয় করছেন না। তারা মজুদদার পেঁয়াজ আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য র্যাব সহ প্রশাসনের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।