মোস্তাকিম হোসেন, হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতাঃ
অধিক শুল্ক যুক্ত পন্যের আমদানি কমে যাওয়ায় হিলি স্থল বন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পুরন করতে পারেনি কাষ্টমর্স কতৃপক্ষ। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রথম ৫ মাসে বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে দেয় ৭৭ কোটি ৩ লক্ষ্য টাকা। বিপরিতে আদায় হয়েছে মাত্র ৬৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ কোটি ৫৬লাখ ২০ হাজার টাকা কম।
বর্তমানে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে যেসব পন্য আমদানী হচ্ছে তার বেশি ভাগই শুল্ক মুক্ত পন্য, কাষ্টমসের হয়রানি ও বৈষম্য নীতির কারনেই কাাঁচা ফল, বিভিন্ন ধরনের মেশিন ও মেশিনের যন্ত্রাংশ, ফ্রেব্রিকস সহ অধিক শুল্কজাত পন্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে এ বন্দর দিয়ে। ফলে ওই সকল পন্য আমদানী বন্ধ থাকায় রাজস্বর যোগান কম হচ্ছে। বর্তমানে হিলি কাষ্টমসের রাজস্ব জোগান এখন নির্ভর করছে শুধু মাত্র ভারত থেকে পাথর আমদানির উপরেই।
গেলো ২০১৮-১৯ অর্থ বছরেও রাজস্ব কম আয় হয়েছে। ২৬৯ কোটি ৩১লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রার বিপরিতে আয় হয়েছে মাত্র ২৩৩ কোটি ১ লাখ টাকা।
আমদানি কারকেরা বলছেন, স্থানীয় কাষ্টমস এর বৈষম্য নীতির কারনেই অধিক শুল্ক যুক্ত পন্য কাঁচা ফলসহ অন্যান্য পন্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। আবার অনেক আমদানি কারকেরাই এ বন্দর ছেড়েছে।
পানামা হিলি পোট লিংক লিমিটেড জনসংযোগকর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, বিগত দিনে অধিক শুল্ক যুক্ত পন্য আমদানী হতো বন্দর দিয়ে, বর্তমানে সে সব পন্য আমদানী হচ্ছে না। শুধু মাত্র পাথর আমদানীতে রাজস্বের যোগান হচ্ছে।
হিলি কাষ্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বেশী হচ্ছে। কাঁচা ফল সহ শুল্ক যুক্ত পন্য আমদানি কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করতে পারেনি হিলি কাষ্টমস কতৃপক্ষ ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০