বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শার পল্লীতে এইস এস সি পাশ ডাঃ হাসানুজ্জামান নামে এক শিশু বিশেষজ্ঞের সন্ধান মিলেছে। নামের পাশে বিশাল বিশেষন শিশু রোগে অভিজ্ঞ লেখা ডাঃ হাসানুজ্জামানের। তিনি প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক শিশু রোগী দেখছেন। রোগী দেখাতে সিরিয়াল দিতে হয়। রোগী দেখতে তার প্রথম ফি ১শ টাকা এবং পরবর্তী ফি ৫০ টাকা। বিষয়টি শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অবহিত সত্বেও আজও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সূত্রে জানাগেছে, শার্শা উপজেলার পল্লীতে চালিতাবাড়িয়ার রাঘবপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে হাসানুজ্জামান। শিক্ষায় সে এইস এস সি পাশ। লেখাপড়া বাদ দিয়ে সে এখন শিশু রোগে অভিজ্ঞ ডাক্তার সেজে শিশুদের বিভিন্ন রোগের প্রেসক্রিপশন লিখছেন। তিনি প্রতিনি সকাল থেকে রাত অবধী নিজ গ্রামে ও বাগআঁচড়া বাজারে ক্লিনিক খুলে রোগী দেখছেন।
রোগী দেখার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , খুলনার পাইকগাছা থেকে ডি এম এফ করে ডাক্তারী করছেন। খোজ নিয়ে দেখা গেছে তার ডি এম এফ ডাক্তারী সনদ ভুয়া। অভিযোগ রয়েছে সে প্রতারনার মাধ্যমে ডাক্তারী করে গ্রামের সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করছেন। হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। আর এভাবে গত ৫/৬ বছরে হাসানুজ্জামান চালিতাবাড়িয়া বাজারে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যায়ে আলিশান বাড়ি তৈরী করেছে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অশোক সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন কোন ব্যাক্তি ডাক্তারী না পড়ে শিশু বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়ে শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া আইনগত অপরাধ।
এ ব্যাপারে শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ মুঃ আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি জানি না। তবে তার বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন ঘটনা আমি জানিনা। তিনি বলেন ডাক্তার না হয়ে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া অপরাধ। তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন শার্শার সচেতন মহল।