নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ধুইল্লাছড়ি এলাকায় এইচ এম আহসান উল্লাহ'র বাগান থেকে ৫ শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাইতং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড দুইল্যাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
বাগান মালিক আহসান উল্লাহ জানান, লামা উপজেলার ৩০৬ নং ফাইতং মৌজায় ১৪ একর জায়গা ২০২১ সালে চকরিয়া পৌরসভার বাদল কান্তি সুশীল নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাফ কবলা হিসেবে দরদাম ঠিক করে বায়না দলিল সম্পাদন করে দখল বুঝিয়ে নিই। ২০২১ সালে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ পূর্বক বাগান সৃজন করি। বাদল কান্তি সুশীল বায়না দলিল সৃজনের ১ বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলন পূর্বক আমাকে রেজিস্ট্রি কবলা দেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে সে কালক্ষেপণ করতে থাকে। আমি ও আমার বড় ভাই ফাইতং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহমদ উল্লাহ বাদল মুন্সিকে জায়গা গুলো রেজিষ্ট্রি দেওয়ার জন্য বারবার যোগাযোগ করি এ সংক্রান্ত কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। এই কল রেকর্ড এ শোনা যায় আহমদ উল্লাহ মেম্বার বাদল মুন্সিকে বলতে শোনা যায় 'দাদা আপনি আগে মরেন, নাকি আমি মরি জানি না, দয়া করে জমি গুলো রেজিস্ট্রি করে দেয়ার ব্যবস্থা নিন। প্রতি উত্তরে বাদল মুন্সি বলেন আমি সুস্থ হয়ে নিই, তারপর ব্যবস্থা নিব।'
আরেকটি কল রেকর্ডে আহসান উল্লাহর বলেন 'দাদা আপনি বারবার টাকা খুজতেছেন, কিন্তু জায়গা রেজিস্ট্রি দেওয়ার কোন খবর নেই। আপনি রেজিস্ট্রি না দিলে আর টাকা দিতে পারবো না। চুক্তিতে তো রেজিস্ট্রির আগে টাকা দেওয়ার কথা বলা নেই, এর পরেও আপনাকে অনেক টাকা দিছি।'
আহসান উল্লাহ আরও বলেন, রেজিস্ট্রির আগে বাদল মুন্সিকে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতার মদদে বৃহস্পতিবার একদল দূর্বৃত্তকে সাথে নিয়ে আমার বাগানে রোপন করা ছোট বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ কেটে ফেলে।
গত ৫ বছরে এই জায়গার বিপরীতে এস বাদল কান্তি সুশীল আহসান উল্লাহ ও তার বড় ভাই আহমদ উল্লাহর কাছ থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে জানান আহসান উল্লাহ।
এ বিষয়ে বাদল কান্তি সুশীল বলেন, 'আহসান উল্লাহ ও তার ভাই আমাকে টাকা না দিয়ে বিদেশ চলে গেছে, তাই বাগানের গাছ কাটার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতার সহযোগিতা নিয়েছি।
ফাইতং আহসানের বাগান থেকে ছোট বড় পাঁচ শতাধিক গাছ কেটে ফেলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে লামা থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান আহসান উল্লাহর স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া।
লামা থানার আওতাধীন ফাইতং ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জাবেদ মাহমুদ বলেন, দুইল্যাছড়ি এলাকায় বাগানের গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।##
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০