রাফিউল ইসলাম (রাব্বি) স্টাফ রিপোর্টার:
রংপুরে মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে ওই স্কুলছাত্রী।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে ওই স্কুলছাত্রী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ২২ ধারায় দেওয়া ঘটনার বর্ণনায় একথা জানান।
জেলা পিবিআই পুলিশের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুলকে যে কোন মুহুর্তে গ্রেফতার করা হবে।
জাকির হোসেন বলেন, ঘটনার আগের দিন ২৩ অক্টোবর এএসআই রাহেনুল প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে তার পূর্বপরিচিত এজাহার ভুক্ত আসামি ভাড়াটিয়া মেঘলার বাড়িতে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে রাহেনুলের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরলে ছাত্রীর মা বকাবকি করেন। এতে অভিমান করে ওইদিন রাতে রাহেনুলের পরিচিত ভাড়াটিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয় ওই স্কুলছাত্রী। সেখানে পরের দিন অচেনা দুই পুরুষ মেয়েটিকে ভাড়াটিয়া মেঘলার সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
জাকির হোসেন আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুর জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়ায় সম্পন্ন করা হয়েছে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া। যেকোনো সময়ে রাহেনুলকে গ্রেফতার করা হবে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামি আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি।
এছাড়াও মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ধর্ষণ সহযোগিতায় গ্রেফতার হওয়া ভাড়াটিয়া বাড়ির দুই নারী মেঘলা ও শম্পাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।