ইমরান উদ্দীন, স্টাফ রিপোর্টার(কক্সবাজার)
গত শনিবার ১৮ নভেম্বর কক্সবাজারের স্থানীয় বহু প্রচারিত দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ পত্রিকায় ঈদগাঁওতে অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎতিক মিটার বাণিজ্য শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরও ঈদগাঁও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাজন পালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যাকত তথ্য আসতে শুরু করেছে।
গত ২৪ নভেম্বর রাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ঈদগাঁও ইউনিয়নের শিয়া পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ ফাঁদ পেতে বন্য হাতির হত্যা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁন।
তিনি বলেন, ঈদগাঁও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বরাবর বার বার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও সরকারি বনভূমি অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎতিক মিটার নিয়ে যাচ্ছে না।এতে বন্যপ্রাণিকে হত্যা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে,বর্ণিত এলাকার নজির আহমেদের ছেলে জলিল নামের এক যুবক বিভিন্ন সময় ধান ক্ষেত রক্ষায় বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দিয়ে থাকে।উপরের বর্ণিত সময়েও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ ছিল বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
হাতি মৃত্যুর খবর পেয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন সরকার,ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমা,ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোঃ গোলাম কবির ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে।
হাতি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত জলিলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পালাতক থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অবৈধ স্থাপনায় বিদ্যুৎ মিটার দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আওতাধীন ঈদগাঁও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাজন পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য মিটার দেওয়ার হয়েছে। হাতি হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
হাতি মৃত্যুর ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় জিডি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁন।
হাতি মৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি মোঃ গোলাম কবির।
হাতির মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি তদন্ত চলছে কেউ বা কাহারা হত্যা করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবল চাকমা।
হাতি মৃত্যুর ঘটনা জানতে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোন রিচিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাহাড়-বন বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। সেখানে চাষাবাদ করে বন্যপ্রাণীর চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি সম্পূর্ণ বেআইনি। এর আগেও একইভাবে হাতি হত্যা করা হয়েছে। এরপর মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব নিরসন সচেতনতা বাড়াতে পাহাড়ের কাছাকাছি গ্রামে গ্রামে সভা-সমাবেশ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মনে হচ্ছে এরপরও সচেতনতা আসেনি। তাই বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।