নিজস্ব প্রতিবেদক:
উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যন্ত লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। দিন - দিন সর্বক্ষেত্রে বেড়েই চলছে অ্যানড্রয়েড মোবাইল ও ইন্টারনেট এর ব্যবহার।
আধুনিকতার ছোঁয়া লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তখনই, যখন অ্যানড্রয়েড মোবাইল বা ইন্টারনেট এর সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার হয়। কিন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে বিস্ফোরক তথ্য ওঠে আসতেছে তা দেশকে এগিয়ে নিতে বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। সেখানে কারা এই ডিজিটালাইজেশন কে কাজে লাগিয়ে ধাবিত হচ্ছে ভিন্ন পথে? নেপথ্যে কি?
সারাদেশের ন্যায় মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সেসুবাধে গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তিরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে নেওয়ার চিত্র নিত্যদিন দেখা যায়। একটি ছোট অ্যানড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করেই এক রাতে হচ্ছে অঢেল কালো টাকার মালিক, আবার কেউ হয়ে যায় ফতুর। আবার মাঝেমধ্যে দেখা যায় সামান্য হাজার দুয়েক টাকা নিয়েও কয়েক পক্ষের সংঘর্ষ।
যেখানে দেশে ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিত্যদিন অভিযান চলমান। কিন্তু অ্যানড্রয়েড মোবাইলে ক্যাসিনো এ্যাপের বিরুদ্ধে অভিযান চলতেও হচ্ছে বিলম্ব, তা বন্ধ হবে কখন ও কিভাবে? প্রশ্ন সচেতন মহলের।
মাতারবাড়ীতে স্থানীয় কয়েক ওয়ার্ডে জুয়াড়িদের সমন্বয়ে রাতে মোবাইল নিয়ে বসে ক্যাসিনো, সুযোগ বুঝে মাঝেমধ্যে একই চিত্র দেখা যায় দিনের বেলায়ও। অনুসন্ধানে ক্যাসিনো বসার কয়েকটি স্থানের খোঁজ পাওয়া গেছে তা হলো: উত্তর রাজঘাট সাইক্লোন সেন্টার, মধ্য রাজঘাট, ওয়াপদা পাড়া, উত্তর সিকদার পাড়া, বলির পাড়া, মগডেইল, সর্দার পাড়া, মাতারবাড়ী ভূমি অফিস, মাতারবাড়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মান, মিয়াজির পাড়ার পশ্চিমের রাস্তা, ৪নং ওয়ার্ড বিলপাড়া, মনহাজির পাড়া সহ ইত্যাদি।
এসব জায়গায় প্রতিদিন রাতেই বসে জুয়াড়িদের মিলন মেলা। মাঝেমধ্যে দেখা মিলে জুয়াড়িদের ভাগবন্টনের সংঘর্ষ, যা পর্যায়ক্রমে রক্তক্ষয়ী অবস্থায় পরিণত হয়। গত শনিবার (১২ জুন) স্থানীয় পুরান বাজারে রাতজুড়ে ঘটে যাওয়া এমন একটি সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জুয়াড়িদের এমন আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী।
মাতারবাড়ীর স্থানীয় পুরান বাজার বিগত ১২ জুনের মধ্যরাতে জুয়াখেলা কে নিয়ে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্র ধরে এক অনুসন্ধানে ওঠে আসে স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের গুটিকয়েক জুয়াড়িদের নাম। যারা নিত্যদিন মোবাইল ও ইন্টারনেটের সাহায্যে ক্যাসিনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
চিহ্নিত কয়েক ডজন জুয়াড়িদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জিল্লুর রহমান কোকা(৫৫) পিতা: মালেক সওদাগর, জিয়া উদ্দিন(২৮) পিতা: লেদু ফকির, মোহাম্মদ রুবেল(৩৫) পিতা: মৃত সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ আরিফ(৩০) পিতা: মোহাম্মদ বেলাল, মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ সাকু(৪০), পিতা: জালাল আহমদ, মোহাম্মদ হোছাইন জুয়েল(৩৪) পিতা: মোক্তার হোছাইন, মোহাম্মদ সাজ্জাদ(২৪) পিতা: আব্দু শুক্কুর, মোহাম্মদ ইনসাফ(১৪) পিতা: মোহাম্মদ ওসমান গণি, শাকের উল্লাহ(২৬) পিতা: মৃত মুল্লুক, মোহাম্মদ আরমান(১৫) পিতা: আবু তাহের পাখি, সেফাত উল্লাহ(১৮) পিতা: মৃত মুল্লুক, কপিল উদ্দিন বাঘা(৩৪) পিতা: মৃত পাখি, সহ প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকায়, দিন দিন সামাজিক অবক্ষয় এবং প্রত্যান্ত অঞ্চলে অপরাধ বেড়েই চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।
গত ১২ জুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি জানান, জুয়াড়িরা দৈনিক রুটিন হিসাবেই পুরান বাজারের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল এ্যাপস ব্যবহার করে ক্যাসিনো নিয়ে বসে। তাঁদের এই অনৈতিক অপরাধ কান্ডের কারণে অত্র এলাকার শিক্ষিত সমাজসহ সমগ্র এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মাতারবাড়ীর সুনাম ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় এলাকাবাসীরা প্রশাসনের সুদৃষ্ট কামনা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০