——
তিনি আবার দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক!
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজের ভূয়া সনদে চাকুরিতে যোগদানের প্রমাণ মেলেছে। সুসং দুর্গাপুর দুর্নীতি ও নিপীড়ন বিরোধী ভার্সিটিয়ান মঞ্চ তার শিক্ষা সনদ যাচাইয়ের আবেদন জানালে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়।
জানা গেছে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে একসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। আরেক অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদারের সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘনিষ্ঠ অংশীদার। ২০১৭ সালের আ.লীগ নেতা ফারুককে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে বসানোর প্রধান কারিগর ছিলেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত হয়েও আওয়ামী রাজনীতি ও ভোটডাকাতির নির্বাচনগুলোতে একদিকে রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের প্রচারণা অন্যদিকে ভোটের দিনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হিসেবে দস্যুর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী রাজনীতির বলয়ে থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল আজিজের শিক্ষা সনদ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা তদন্ত কমিটির আহবায়ক দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব নিপা বিশ্বাস বলেন, “অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আজিজ তার প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট দেখাতে পারেন নি।”
এর আগে এই তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও উপজেলা খামার ব্যবস্থাপক জনাব গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, “ওনার বিষয়টাতেও তো মহাসমস্যা। শিক্ষাসনদে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে”।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, “এই বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠিয়েছি। তিনি সেটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাবেন।”
নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমিন জানান, “আমরা এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি মাউশিতে পাঠিয়েছি।”