এজি লাভলু:
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া অর্থ উদ্ধার করে দিয়েছে খুলনা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। গত ১৭ এপ্রিল, রবিবার খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুশান্ত সরকার গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সূত্রে জানান যায়, গত ২২ মার্চ মো. আব্দুল গফফার মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করতে গিয়ে অন্য একটি নম্বরে তার ২০ হাজার টাকা চলে যায়। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় তিনি এই ঘটনার বিষয়ে একটি জিডি করেন।
উদ্ধার করা টাকা ভুক্তভোগী মো: গফফার মোল্লাকে ফেরত প্রদান করা হয়। তিনি টাকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন এবং পুলিশের এ কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
খুলনার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে কল করলে যেকোনো ডিজিটাল তথ্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পর্শকাতর যেকোনো বিষয়ে পোস্ট করা বা কোনো পোস্টে কমেন্টস বা লাইক দেওয়ার পূর্বে ভালো করে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ডিজিটাল জগতে সকলকে সচেতন হতে হবে।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুশান্ত সরকার বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল “নিউজ ভিশন বিডি”কে জানান, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধের লক্ষ্যে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন স্যারের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং তার সুচিন্তিত ও যুগোপযোগী দিকনির্দেশনায় ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর খুলনায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের পথচলা শুরু হয়। এ ইউনিট সাইবার জগতের ভিকটিমদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সফলতার সঙ্গে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে।
সুশান্ত সরকার আরও বলেন, খুলনায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল আত্মপ্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে শতাধিক হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভুলক্রমে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার, খুলনা জেলার বিভিন্ন থানার জিডি মূলে ভিকটিম উদ্ধার, বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তারে সহায়তা প্রদান, মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটনে সহায়তা, ফেসবুক হ্যাকিং বিষয়ক তথ্য উদঘাটনে সহযোগিতা প্রদান, ডিজিটাল মাধ্যমে হুমকি প্রদান সংক্রান্ত তথ্য উদঘাটনে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।