নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া এডভোকেট’স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবি বর্তমানে চকরিয়া পৌরসভা ভরামুহুরী এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও তার ভাই পেকুয়া জি.এম.সি ইনস্টিটিউট-এর প্রধান শিক্ষক মাষ্টার জহির উদ্দিনের পৈত্রিক শত বছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। রাজাখালী ৯নং ওয়ার্ড আমিলাপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জবর দখল ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করলে, আদালত তা আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর (মামলা) হিসেবে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এডভোকেট মোঃ গিয়াস উদ্দিন পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ৯নং ওয়ার্ড আমিলাপাড়া গ্রামের মরহুম আলহাজ্ব মাষ্টার মাহফুজুল করিমের পুত্র ও পেকুয়া উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট উম্মে কুলছুম মিনুর স্বামী।
মামলায় আসামী করা হয়েছে; একই গ্রামের আবদুল জব্বারের পুত্র মাহবুবুল আলম ও ইসমাইলের পুত্র বদর আলম গংকে।
মামলা রেকর্ড হওয়ার পর কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং বাদী-জমি মালিক পক্ষকে হুমকি ধমকি অব্যাহত রাখায় নিরুপায় হয়ে ১৯জুলাই বিকাল ৩টায় চকরিয়া এডভোকেট’স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বৎসরের অধিককাল যাবৎ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়ায় অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সহিত আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে আইনী সেবা দিয়ে আসছি। আইনী পেশার সুবাদে চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী গ্রামে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। একই ভাবে আমার ছোট ভাই মাষ্টার জহির উদ্দিন, পেকুয়া জি.এম.সি ইনস্টিটিউট-এ প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চৌমুহনী গ্রামে স্বপরিবারে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। আমার মরহুম পিতা ছিলেন একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পৈত্রিক ওয়ারিশী প্রাপ্ত সম্পত্তি দীর্ঘ ১০০ বৎসরের অধিককাল যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে রয়েছেন। যা আর.এস, বি.এস ও দিয়ারা খতিয়ান আমার দাদা ও পিতার নামে চুড়ান্ত প্রচার রেেয়ছে। কিন্তু অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা সম্প্রতি প্রায় ১ কানি জমিতে সন্ত্রাাসী কায়দায় খুটি দিয়ে জবর দখলে নেয়ার পায়তারাসহ পাকা গৃহ নির্মাণের চেষ্টা চালায়। তাতে নিয়োজিত চাষারা বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অবৈধ অস্ত্র দ্বারা ফাঁকা গুলি বর্ষন করে ভীতি প্রদর্শন করে। বর্তমানে জমিতে ধারালো দা, লম্বা কিরিচ, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করে দখল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইতিপূর্বে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার-এ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারামতে এম.আর- ৩৫২/২০২১ইং মামলাও দায়ের করেন। আদালত জমিতে অনধিকার প্রবেশে বারিত আদেশ দেয়া সত্ত্বেও অভিযুক্তরা সম্পত্তিতে গৃহ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে অবৈধভাবে ১০লাখ টাকা চাঁদা করেন। এঘটনায় তিনি (এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন) বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চকরিয়ায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আামলে নিয়ে থানাকে এফ.আই.আর হিসাবে গন্য করার নির্দেশ প্রদান করেন। ফলে পেকুয়া থানা জি.আর- ১০৭/২২ইং রুজু করেন। উক্ত মামলায় অদ্যাবধি কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বেতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনী সহায়তা কামনা করেন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এডভোকেট লুৎফুল কবির, বর্তমান সভাপতি এডভোকেট হাবিব উদ্দিন মিন্টু, এডভোকেট মো: ইব্রাহিম, এডভোকেপ নুরুল কবির, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাঈদুর রহমান জিকু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো: ওমর ফারুক প্রমূখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০