মোঃ পারভেজ হাসান
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আজ (৩ 'অক্টোবর) মঙ্গলবার বিকালে সেই প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক সহ পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ৯'জন প্রার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২'জুন বিদ্যালয়টির জন্যে অফিস সহায়ক ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী দুটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। বিজ্ঞপ্তির পরে দুটি পদে আবেদন করেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
আবেদনের কয়েক মাস পরে চলতি মাসের ১'অক্টোবর গোপনে এই ভুক্তভোগী ৯ জন প্রার্থীকে বাদ দিয়ে দুটি পদে দুজনকে নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ,সভাপতি বাবুল হোসেন ও শিক্ষক প্রতিনিধি তাহেরা পারভিন। তারা তাদের নিজের মনোনীত প্রার্থীদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এতে মোট ৯'জন প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করেছেন প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। সেই সাথে টাকা ফেরতের দাবিতে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রার্থীরা সহ সে এলাকার লোকজন।
ভুক্তভোগী কাওছার আলী, রায়হান হোসেন,খায়রুল ইসলাম, নাসরিন আক্তার,রবিউল ইসলাম সহ একাধিক প্রার্থী জানান, আমাদের কাছ থেকে মোট ৩৯ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। আমাদের চাকরি না দিয়ে তাদের নিজের লোককে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন আমরা তাদের বিচার চাই। এবং আমাদের টাকা আমরা ফেরত চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় আজহার আলী বলেন, আমার জামাইয়ের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এখন চাকরিও নেই টাকাও নেই। আমরা এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা চাই।
সেই এলাকার দক্ষিণ নওডাঙ্গা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, বিদ্যালয়টিতে অনিয়মে ভরে গেছে। কথা বললে প্রধান শিক্ষক ক্ষেপে গিয়ে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। আমরা এই নিয়োগ বাতিল চাই। যাদের কষ্টের টাকা নিয়েছে তাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবুল হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সব দোষ অস্বীকার করে (মুঠোফোনে) প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি কোন টাকা নেয়নি বলে ফোন কেটে দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০