অলিউর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আলমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ রাখার ঘটনা ভিডিও করায় সাংবাদিককে কেন গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার হুমকি প্রদান করা হয় এ ঘটনার কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন কুমার সানা। গতকাল সোমবার প্রেরিত নোটিশে আলমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আল আমিনকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এর সঠিক জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, গত রবিবার দুপুরে দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা’র স্টাফ রিপোর্টার আলমখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌছে বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়ায় এর ভিডিও চিত্র ধারন করে ফেইসবুকে আপলোড দেয়ায় সহকারী শিক্ষক আল-আমিন পরবর্তীতে এই সংবাদকর্মীকে ফোনে অশ্লীলভাবে গালিগালাজ ও চড়-থাপ্পর মারার হুমকি প্রদান করে (অডিও রেকর্ড আছে) যা শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির পরিপন্থি। সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শনের জন্য কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার সন্তোষজনক জবাব আগামী ৭ দিবসের মধ্যে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। অপরদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কারন জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও নোটিশ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য করোনা মহামারি কালে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত রবিবার সারা দেশের ন্যায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হলেও আলমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকে। সকাল থেকে দুপুর অব্দি স্কুলে দেখা মেলেনি কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর। টানানো হয়নি জাতীয় পতাকা। খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে তালাবদ্ধ আলমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে দিলে ক্ষুব্ধ হন স্কুলের শিক্ষকরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গণমাধ্যমকর্মীরা স্কুলে থাকাবস্থায় ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আল আমিন সংবাদকর্মী মোতালিব ভূঁইয়ার মুঠোফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০