সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকার স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে চোর চক্র ও মাতালদের উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত বাশতলা (হক নগর) এলাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এনিয়ে প্রায় সময় সীমান্ত এলাকায় খাসিয়াদের সাথে গুলাগুলির ঘটনাও ঘটছে।
রোববার বিকেলে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করায় উপজাতি খাসিয়াদের গুলিতে আহত হয়েছেন কামাল হোসেন (২২) নামে চোর চক্রের এক সদস্য। সে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা কলোনী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে চোর চক্রের সদস্য কামাল হোসেনসহ ৩ জন ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশের সীমান্ত ১২৩১/৫ এস দিয়ে ভারতে সুপারি চুরির লক্ষ্যে ৩০০ গজ ভিতরে ভারতের লংথাই ও মৌলা এলাকায় চুরি করতে যায়। এসময় সুপারি চুরির খাসিয়াদের গুলিতে কামাল হোসেন আহত হয়। ঘটনার পর চোর চক্রের সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে একটি মোটরসাইকেলে করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, একইদিন বিকালে বাঁশতলা (হক নগর) শহিদ স্মৃতি সৌধ এলাকায় মদ পান করে এক মাতালামী করে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এরই সূত্র ধরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুটি পক্ষ লাটিসোটা নিয়ে মারমুখী অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে সীমান্তবর্তী বাঁশতলা বিওপি (বিজিবি) সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতীয় সীমান্ত এলাকা বাঁশতলা, ঝুমগাঁও, কলোনী ও পেকপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন উঠতি বয়সী যুবক অবৈধ ভাবে ভারতীয় সীমানায় নিয়মিতই অনুপ্রবেশ করে। তারা সুপারী, মদ, গরুসহ নানা জিনিস চুরি করে দেশে নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব চোর চক্রের বিরুদ্ধে বাঁশতলা (হক নগর) এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ারও একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বদরুল হাসান খরব পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এবিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##