কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার কালামার ছড়ায় ভাই বোনদের সাথে প্রতারনা করে ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় অভিযান চালিয়ে রুহুল আমিনকে (৪৫) গ্রেফতার করে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ। কক্সবাজার সদর মডেল থানার এজহার সূত্রে জানা যায়, মোর্শিদা বেগম (৫০), পিতা-মৃত ওবাইদুল্লাহ কে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণা পূর্বক জাল দলিল তৈরি করে ২০, ০০, ০০, ০০০/- (বিশ কোটি) টাকা আত্মসাৎ করে রুহুল আমিন ও তার ভাই সদরুল আমিন।
জানা যায় রুহুল আমিন তার ৪ ভাই ১ বোন পিতার সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে স্বত্ব দখলীয় মৌজা- ঝাপুয়া ও ইউনুছখালী, উপজেলা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার। বি, এস খতিয়ান নং ৩৮৪,
৩৮৫, ৩৮৬, ৪১৬, ২১২, ৪৭৫, ১৪৭, ৯৩, ১,৫, ১১৫, ৩৪০, ৪০৪, ৬৩৭, ৬২৩, ১৮৬, এছাড়াও অজ্ঞাত আরও খতিয়ান যাহার এল.এ মামলা নং ০৩/২০১৮-১৯ ইং, রোয়েদাদ নং ১৩৪৯, ১৩৫৪, ১০, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৭২, ২৮০, ০৯, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ১৫, ৪৩, ৪৪, ৪৭, ৫১, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৬২, ৬৫, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৯২, ১৭২, ১৭৩, ১৭৪, ১৭৬ তপশীলের জমি অধিগ্রহন হয়। যাহার এল.এ মামলা নং ০৩/২০১৮-১৯ ইং। রুহুল আমিন ও সদরুল আমিন চাল চতুরির মাধ্যমে ৪ ভাই বোন ও মৃত ভাইয়ের সন্তানদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অজ্ঞাত লোকজনকে মালিক সাজাইয়া প্রতারনার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল তৈরি করে। এই প্রতারণার মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল.এ শাখা হইতে সাজানো লোকদের উপস্থাপন করে আপন ভাই বোন ও ভাইপোর প্রায় আনুমানিক ২০ কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে নেই প্রতারক রুহুল আমিন ও সদরুল আমিন।
গত ৫/৬/২০২৫ ইং মোর্শিদা বেগম বাদি হয়ে রুহুল আমিন,সদরুল আমিন (৪০), জন্নাতুল বকিয়া (৩৫),মাহাবুর রহমান (৪২),ছোট মিয়া (৩৫) ও অজ্ঞাত ৩ জন সহ ৮ জনকে আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১৪/৩০৫ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ রুহল আমিনকে গ্রেফতার করেন। কিন্তু এখনো বাকি আসামিদের গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো ইলিয়াস খান বলেন, রুহুল আমিনকে প্রতারণা মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০