জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ৬ষ্ট শ্রেনি পড়ুয়া এক কিশোরীকে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে কোচিং মাষ্টার বিলাস,ধর্ষিত স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর অভিযোগে করা মামলায় মোঃ বিলাস উদ্দিন (২২) নামে কোচিং মাষ্টারকে গ্রেপ্তার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। ধর্ষিতা কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
২৬শে ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে বিলাস উদ্দিনকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে মেলান্দহ থানা পুলিশ।
আটককৃত বিলাস আদ্রা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাস উদ্দিন স্থানীয় নেহাল কোচিং সেন্টারে পরিচালক কোঠের বাজারে একটি ফটোকপিও কম্পিউটার কম্পোজ এর দোকান পরিচালনা করতেন। কোচিংয়ে পড়ার সুবাদে ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
আদ্রা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নুর আলম বলেন, বিলাস উদ্দিন আদ্রা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি এবিষয়ে কিছু জানিনা, তবে আজ সকালে থেকে তার অপকর্মের কথা শুনেছি, তবে সঠিক কিনা তাও জানিনা।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, থুরি গ্রামের লিপি বর্তমানে জামালপুর রাণীগন্জ বাজারে পতিতা পল্লির বাসিন্ধা তার একমাত্র মেয়ে শারমিন (১৩) থুরি সৃজনশীল নেহাল কোচিং সেন্টারে লেখাপড়া করেন কোচিং সেন্টারের পরিচালক ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি আজগর আলীর পুত্র বিলাস উদ্দিনের সাথে অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। নানা প্রলোভন দেখিয়ে মেলামেশা করেন বিলাস এতে কিশোরী কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে৷ এই মামলায় কোচিং মাস্টার বিলাস কে আটক করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আদ্রা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফয়মুজ্জামান আলিফের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিলাস কে দলীয় শৃখলা ভঙ্গের দায়ে তার দলীয় পদ হতে সাময়িক বহিস্কার করেছ৷
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০