নজরুল ইসলাম,কুতুবদিয়াঃ
কুতুবদিয়ায় সহযোগীসহ বদরুদ্দোজা নামের এক ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী পূর্ব পাড়ার মোহাম্মদ বকসু’র ছেলে ভূয়া ডাক্তার বদরুদ্দোজা এবং তার সহযোগী একই উপজেলার পূর্ব ভেওলার নুরুল ইসলামের পুত্র রেফকো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার জামাল হোসেন।
জানা যায়, বদরুদ্দোজা দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিষ্টার ডাঃ এসএম ফারহাদ মারুফের নাম ও ডাক্তারী রেজিষ্ট্রশন নং-৫১৩৫৩ ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে চকরিয়া সিটি হাসপাতালে নিয়োমিত রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
সে শুধু চকরিয়া নয় মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় সে এই অবৈধ কাজ করে আসছিলো। বিষয়টি গত ডিসেম্বর ডক্টরদের অনলাইন গ্রুপ বিডিএফের মাধ্যমে জানতে পারেন ডাঃ এসএম ফরহাদ মারুফ।
এরপর তিনি বিষয়টি র্যাব হেড কোয়ার্টার এবং মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষকে অবিহিত করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে প্রতারক বদরুদ্দোজাকে মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেন। মোবাইল ট্রেকিং এর বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রতারক বদরুদ্দোজা বিগত এক মাস চেম্বার করা বন্ধ করে দেয়।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) প্রতারক বদরুদ্দোজা ডাক্তারের নাম ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে কুতুবদিয়া উপজেলার আদিল মাকের্ট সংলগ্ন আল করিম ফামের্সীতে মা,শিশু ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ,এবিবিএস ও এফসিপিএস ডাঃ এসএম ফরহাদ রোগী দেখবেন বলে ঘোষণা দিয়ে দুই দিন আগে থেকেই পুরো উপজেলায় মাইকিং করে। এতে সহযোগিতার করেন রেফকো ফার্মার এরিয়া ম্যানেজার জামাল হোসেন। বিষয়টি প্রকৃত ডাঃ এসএম ফরহাদ মারুফ জানতে পারলে তিনি সাথে সাথে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মুহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউসকে জানান। কুতুবদিয়া থানা দেরী না করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে সহযোগীসহ প্রতারক ভূয়া ডাক্তার বদরুদ্দোজাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে কুতুবদিয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভূয়া ডাক্তারকে ১বছরের সশ্রম কারাদন্ড,সহযোগী জামালকে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ফামের্সী মালিক দেলোয়ার হোসেনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০