শামসুল হুদা লিটন,কাপাসিয়া (গাজীপুর ) থেকেঃ
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে ডেলিভারি করতে গিয়ে নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এদিকে শুধু নবজাতকের মৃত্যুই নয় প্রসূতির অবস্থাও গুরুতর বলে অভিযোগ উঠেছে নামধারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জেসমিন নাহারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায় প্রসূতির বাড়িতে।
অভিযুক্ত জেসমিন নাহার বীরউজলী বাজারের আশা ডেন্টাল কেয়ারের সত্ত্বাধিকার সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত নামধারী এ ডাক্তার নিজেকে 'মা ও শিশু,গাইনী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেসমিন নাহার। সেবার নামে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে প্রসূতির স্বামী জহিরুল ইসলাম গত ৯ আগস্ট মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জহিরুল ইসলাম উপজেলার টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে স্ত্রী'র প্রসব বেদনা দেখা দেয়। পরে বীর উজলী বাজারে নাহার মেডিকেল হলের প্রোপাইটর জেসমিন নাহারকে জানালে ২ ঘণ্টার মধ্যে নরমাল ডেলিভারী করাতে পারবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
কিন্তু ৩-৪ ঘন্টা সময় ক্ষেপন করেও তিনি নরমাল ডেলিভারী করাতে ব্যার্থ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দিয়ে তিনি বলেন যদি এই ডেলিভারী না করাতে পারেন তাহলে তার মানসম্মানের হানী হবে। কিছু সময় পর পরিবারের অনুমতি ছাড়াই প্রসূতির জরায়ূ হাত দিয়ে টেনে ছিঁড়ে বাচ্চা বের করেন। এতে নবজাতকের মৃত্যু হয় এবং শারিরীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থের স্বীকার হয় প্রসূতি।
ভুক্তভোগীর স্বামী জহিরুল বলেন, জেসমিন নাহার নিজেকে একজন 'মা-শিশু ও গাইনী মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দাবি করেন। তাই আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে জানালে সে নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে আমার স্ত্রীর অবস্থাও খুবই আশঙ্কাজনক। আমি এমন ডাক্তারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেসমিন নাহার বলেন, আমি নবজাতকের মৃত্যুর জন্য দায়ী না। বাচ্ছা প্রসবে দেরি হলে টেনে বের করা হয়েছে। এটা একটি দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি উভয় পক্ষের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট কখনো ডাক্তার, মা, শিশু, গাইনী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ লিখতে পারবেনা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০