ইমরান উদ্দিন, কক্সবাজার :
কক্সবাজারে ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে স্ত্রীসহ ধরা পড়েছেন এপিবিএন পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক।
শুক্রবার (২০ মে) রাত ১০টার দিকে কলাতলী গ্রীণ লাইন কাউন্টার থেকে টেকনাফ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের আটক করে।
আটক ওই উপ-পরিদর্শক হলেন রেজাউল। তিনি সিরাজগঞ্জের সমেশপুরের মৃত আলতাফ হোসেনের পুত্র। তাঁর স্ত্রীর নাম মলিনা পাশা।
টেকনাফ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মণি চাকমা জানান, আটক রেজাউলের পরিবার কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল। যাওয়ার সময় ইয়াবাগুলো কৌশলে ঢাকায় পাচারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল ইসলামের নির্দেশে কলাতলী ডলফিন মোড়ের গ্রীণ লাইন কাউন্টার থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এসময় তাদের ব্যাগ তল্লাশী করে ২০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
আটক রেজাউল নিজেকে ১৬ এপিবিএন এর উপ-পরিদর্শক দাবি করছেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে টেকনাফের আলীখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত আছে বলে জানান। যার সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। দিনদুপুরে ইয়াবা কারবার, অপহরণ, চাঁদাবাজির পাশাপাশি ক্যাম্প কেন্দ্রিক বাজারগুলোও নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা। তাদের অপরাধ কর্মকান্ডে অসাধু ও লোভী পুলিশ কর্মকর্তাদেরও ব্যবহার করার অভিযোগ আছে দীর্ঘদিন থেকে।
অভিযোগ উঠেছে, ইয়াবা ব্যবসায়ীর হয়ে কাজ না করায় পুলিশের রোষানলে পড়ছেন রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত এপিবিএন পুলিশের কতিপয় অফিসার ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগসাজশে মাদক ব্যবসাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।