সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটের ওসমানীনগরে সরকারি ঔষুধ বিক্রিসহ নানা অভিযোগে ভূয়া ডাক্তার নিরঞ্জনকে গ্রেফতার করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। ৩ জুলাই (শনিবার) রাতে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের লামা গাভূবটিকি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিলেটের ওসমানীনগরে সরকারি ওষুধ বিক্রিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে হাতুড়ি ডাক্তারের নবীন ক্লিনিক নামক ঔষধের দোকানে ৫ হাজার টাকার জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ৩ জুলাই (শনিবার) দুপুরে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের চাতলপাড় বাজারে দীর্ঘদিন থেকে হাতুড়ি ডাক্তার নামে পরিচিত নিরঞ্জন সুত্রধর এর চাতলপার বাজারে নবীন ক্লিনিক নামক এক ফার্মেসীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট্র মোছাঃ তাহমিনা আক্তার অভিযান পরিচালনা করে মাত্র ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। ডা.নিরঞ্জন ধরের মালিকানাধীন নবীন ক্লিনিক নামক ফার্মেসীতে অভিযান চালালে বেশ কয়েক হাজার টাকার সরকারি ঔষুধ,অবৈধ শীল সহ ব্যবহৃত সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। নিরঞ্জন সূত্রধর ও তার ছেলে নিজেদেরকে ডাক্তার দাবি করে বাংলাবাজার ও চাতলপার বাজারে একাধিক ঔষধের দোকান খোলে দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। তবে তারা ডাক্তার ও ফার্মেসীর কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাছাড়া তার ক্লিনিক থেকে ওসমানীনগর থানার অফিসের, নির্বাচনের ও সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের সীল ও প্যাড জব্দ করা হয়। এসময় ওসমানীনগর থানার এসআই নিখিল চন্দ্র দাশসহ একদল পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ তাহমিনা আক্তার বলেন, নিরঞ্জন সূত্রধর ডাক্তার পরিচয়ে প্রেসক্রিপশান ব্যবহার করলেও এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।ক্লিনিকের ও কোন লাইসেন্স নেই। তাৎক্ষণিক কোন কাগজ পত্র না থাকায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে ওসমানীনগর থানাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের সীলের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ওসমানীনগর থানার ওসিকে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বর্ণিকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষটি আমি অবগত হয়েছি। আলামত পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। এব্যাপারে হাতুড়ি ডাক্তা নিরঞ্জনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে সংযোগ বিচ্চিন্ন করে দিয়েছেন।