হুমায়ুন কবির,পেকুয়া থেকে–
কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নে লবণ মাঠে যাওয়ার পথে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক লবণ চাষীর উপর বর্বর হামলা চালিয়ে গুরতর আহত করে। স্থানীয়রা আহত জাহাঙ্গীরকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে,লবণ চাষী আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত জাহাঙ্গীর আলম উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় একই ইউনিয়নের দক্ষিণ সুতাচোড়া এলাকার আকতার আহমদের বাড়ির রাস্তার সামনে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মনজুরা বেগম জানান ঘটনার ঘন্টা দেড়েক আগে থেকে নতুন ঘোনা এলাকার শহিদুল্লাহর ছেলে সজরুল,কালুর পুত্র রাসেলসহ ৪/৫ জন লোক আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান করছিল। কিছুক্ষণ পরে জাহাঙ্গীর আমাদের বাড়ির সামনে আসা মাত্র সজরুল রাসেলসহ সবাই মিলে জাহাঙ্গীরকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে, তখন আমার চোর- বলে চিৎকার করলে এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।এরপরে এলাকাবাসীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।বিনা অযুহাতে একজন পথচারীকে এভাবে পিঠাতে পারে আমি আগে কখনো দেখি নাই।
পথচারী খলিলুল্লাহ নিউজ ভিশনকে বলেন, আমি পথ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি ৪-৫ জন রড়,হাতুড়ি এবং দা নিয়ে অতর্কিত ভাবে জাহাঙ্গীরের উপর হামলা করে। আমরা চোর বলে চিৎকার না করলে,মনে হয় ওরা জাহাঙ্গীরকে মেরে পেলতো।
আহত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রৌশন আরা বলেন সকালে আমার স্বামী উজানটিয়া লবণ মাঠে যাচ্ছিল পথিমধ্যে সন্ত্রাসী সজরুল,রাসেল,শহিদুল্লাহ, কালাইয়্যা,জাহেদ উল্লাহ ও নজরুল্ল্যাহসহ সবাই হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে আহত করেছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার স্বামী আশংকাজনক অবস্থায় আছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এবিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম বলেন ঘটনার বিষয়ে শুনেছি তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।