উপকুলীয় প্রতিনিধি :
উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং এর ছেপট খালী ঢালার মুখ এলাকায় এক পাগলী গত ৮/১২/২০২১ইং রাত আনুমানিক ১০ঃ০০ ঘটিকার সময় এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। মানষিক ভারসাম্যহীন এই মহিলার কন্যা সন্তান হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কারনটা স্বাভাবিকভাবেই যৌক্তিক। যেহেতু কন্যা সন্তানের পিতৃ পরিচয় নেই তাই যে বা যাহারা একটা পাগলের সাথে যৌন লালসা মেটানোর জন্য এহেন জগন্য কাজ করল তাদের ধিক্কার জানানোর ভাষা আসলে কারো জানা আছে বলে মনে হয় না। তাই উৎসুক জনতা পাগলীর মেয়েটিকে এক নজর দেখতে ভিড় করছিল। তার পরেও সবাই মনে করেছিল প্রশাসনের কেউ বা গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে কেউ কন্যা সন্তানের দিকে চেয়ে হলে ও পাগলীর দায়িত্বটা নেবে। অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল পাগলীর দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। কিন্তু ছেপট খালী ঢালার মূখ এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সাবেক মহিলা মেম্বারের স্বামী মৌঃ আবুল বশর তার নিজের মার্কেটে সন্তান ভূমিষ্টের দোহাই দিয়ে ভূমিষ্টের একদিনের মাথায় পাগলীর কাছ থেকে কন্যা সন্তানকে কেড়ে নিয়ে পাগলীটাকে তার মার্কেট থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমাদের নিউজ ভিশন এর নিজস্ব প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
প্রবাদ আছে "বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে " কিন্তু সমস্ত মানবতাকে ভূলন্ঠিত করে একদিনের কন্যা সন্তানকে মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়াকে সাধারণ জনগন ভাল চোখে দেখছে না। সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে না পেয়ে অঝোরে কেঁদে কেঁদে পাগলীটি রক্তমাখা শরীর নিয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখে এলাকার জনগনকে বলতে শুনা যায়, নরপশুরা পাগলীটাকে এত বড় পাষবিক নির্যাতন করল, ফলস্বরূপ অবৈধ সন্তান প্রসবে বাধ্য হল। এখন একদিনের সন্তানকে কেড়ে নিয়ে এত বড় আঘাত করল, পাগলীটা হয়ত মরেই যাবে।
পাগলির নবজাত শিশু কেড়ে নেওয়া মৌঃ বশর কক্সবাজার এল. এ শাখার তালিকাভুক্ত দালাল। এল.এ শাখা ও এলাকায় রয়েছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ। তবে রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে নিজেকে সব সময় নিরাপদ ও ধরাছোয়ার বাহিরে রাখে বলে জানান এলাকাবাসী।
তবে সম্প্রতি পাগলির নবজাত শিশু জোর করে কেড়ে নিয়ে যে অমানবিক কাজ করেছেন তা মেনে নিতে পারছেন না প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীদের দাবি, এহেন অমানবিক ও জগন্য কর্মের জন্য মৌঃ বশরকে আইনের আওতায় আনা হোক।এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত পাগলির নবজাত শিশুকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
নবজাত শিশুটির দায়িত্ব যদি নিতেই হয় তবে তার মায়ের কোলে রেখেই নেওয়া হোক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০