মো: মোমিন খান, স্টাফ রিপোর্টার (বগুড়া) :
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌরসভাসহ গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক হারে মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নজরদারী থাকা সত্ত্বেও একশ্রেনীর পেশাদারী মাদক ব্যবসায়ী ঈদের বিশেষ দিনে অধিক লাভের আশায় বিক্রি ও সেবনের উদ্দেশ্যে মদ গাঁজা হেরোইন ফেনসিডিল ইয়াবাসহ বেশ কয়েক প্রকার নেশা সামগ্রী মজুত করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সূত্র জানায়, পেশাদারী মাদক কারবারিরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের বিশেষ দিনে অধিক লাভে বিক্রির আশায় হিলি, পাঁচবিবি, টেকনাফসহ দেশের বেশ কিছু মাদক জোন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য অল্পমূলে কিনে ট্রেন কিংবা বাসযোগে সান্তাহার নিয়ে আসে। সেখানে অভিনব কায়দায় মাদক কারবারি ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বাসায় মজুত রেখে কিছু অংশ সান্তাহার পৌরসভা, ছাতনী ঢেকড়া, নওগাঁ শহর, আদমদীঘি বাজার, ডালম্বা বস্তি, জিনইর, মুরইল বাজার, তালশন, তেতুলিয়া, ডহরপুর, শিবপুর, কুসুম্বী, চাঁপাপুর বাজার, নসরতপুর কলেজপাড়া, কুন্দগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রাম, বিহিগ্রাম, বড়িয়াবার্ত্তা, সিংগাহার, সালগ্রাম, পারইলসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পাইকারী ও খুচরা মাদক বিক্রেতাদের নিকট সরবরাহ করে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী জানায়, প্রতি মাসে বিভিন্ন মহলে ২০ থেকে ২৫হাজার টাকা করে তাদের দিতে হয়। যার কারণে মুল মাদক ব্যবসায়ীদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ধরেনা। নারী. কিশোরসহ প্রায় ৪ শতাধিক ব্যক্তি এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রয়েছে বলে তারা জানায়। পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীকে আটক করলেও মূলহোতার অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। তারা কৌশল পরিবর্তন করে নতুন অচেনা কিছু মাদক ব্যবসায়ী সৃষ্টি করে তাদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে এই কারবার। অত্র উপজেলায় কিছু মাদক ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ও সেবনকারিকে আটক করার পর ছেড়ে দেয়ার প্রবনতাও বেড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানায়, ঈদকে সামনে রেখে মাদক কেনাবেচা কিংবা বহন রোধকল্পে চিহ্নিত মাদক কারবারিদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মাদক কারবারিদের গ্রেফতার ও বিপুল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে