হাছান মাহমুদ সুজন,কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের গ্রামীণ জনপদ কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁকখালী ড়ায়বেটিস মার্কেট থেকে একই ইউনিয়নের গাউছিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটারের গ্রামীণ সড়কটি প্রায় চার কিলোমিটার অংশ জুড়ে ভাঙ্গা।এ সড়কটি প্রায় ২০হাজার লোকের চলাচলের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। গ্রামের ভিবিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের মালামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে এ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যুগ যুগ ধরে চলাচলের কাঁচা মাটির এই সড়কটি চার বছর পূর্বে পাকা ইট দ্বারা সংস্কার করা হয়েছিল।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু অসাধু লবন ব্যবসায়ীর অতিরিক্ত লবণবাহী ট্রলি এবং লবণবাহী মাহিন্দ্রা(ট্র্যাক্টর) গাড়ি চলাচলের কারনে সড়কটির প্রায় অংশ জুড়ে ইট উপড়ে গিয়ে ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।অতিতে এ সড়ক দিয়ে এলাকার লোকজন টেম্পু,সিএনজি, মোটর চালিত রিক্সা যোগে যাতায়াত করলেও বর্তমানে লবণবাহী গাড়ি চলাচলের কারনে সড়কের উপর ছোট বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
প্রায় ছয় কিলোমিটারের এই সড়কে পাশাপাশি রয়েছে জুম্মা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বাঁকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,জুম্মা পাড়া ঘূর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র,বাঁকখালী কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক, উচ্চতর মাধ্যমিক আরবি শিক্ষা প্রতিষ্টান গাউছিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা সহ বেশ কয়েকটি মসজিদ ও মকতব।
গ্রামের নারী-পুরুষ এ সড়ক দিয়ে নানা ঝুকিঁ নিয়ে বহু কষ্টে যাতায়াত করে।মূমুর্ষ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত, স্কুল-মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াত, প্রয়োজনীয় চাহিদা মিঠানোর তাগিদে এলাকার লোকজন হাঁট বাজারে যাতায়াত করতে চরম বিপাকে পড়ে প্রতিনিয়ত ৷তাছাড়া দূর্যোগকালীন সময়ে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া যেন আরো বেশী ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান,মানুষের চলাচলের সড়কটি এখন পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে।এ সড়কটি দেখেও যেন কেউ দেখে না! বিগত তিন বছর যাবৎ এ সড়ক দিয়ে শুধু মাত্র লবণবাহী ট্রলি/মাহিন্দ্রা গাড়ি ব্যথিত যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল শূন্য হয়ে পড়েছে।পায়ে হেঁটেও দূর্ঘটনার কবল থেকে রেহায় পাচ্ছে না তারা।বর্ষা আসলে রাস্তার উপর ছোট বড় গর্তে পানি জমে কাঁদা মাটিতে ভরপুর হয়ে যায়।নির্বাচন আসলেই হাজারো উন্নয়নের বাণী শুনিয়ে, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ভোট গ্রহণ করলেও হাজার হাজার মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোন দৃষ্টি নেই বলে জানান। প্রায় চার বছর আগে ইট দ্বারা কাঁচা অবস্থা থেকে রাস্তাটির উন্নয়ন হলে ও পরবর্তীতে বিগত ২বছরে আর পূনঃসংস্কার করা হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহারিয়ার চৌধূরীর নিকট মোঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ট্রলি/মাহিন্দ্রা গাড়ির মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ বহন করা সম্পূর্ন অন্যায় এবং দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করা।দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি অবহেলিত হয়ে পড়েছে৷এই সড়কটি আইসিসির মাধ্যমে পূনঃসংস্কার করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে।