ঢাকাশুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

সর্পদংশনের কার্যকর চিকিৎসা পেতে চ্যালেঞ্জ এবং বাধা

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১:৪২ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

এম এ ফয়েজ:

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস। ৫ম বারের মত পালিত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সর্পদংশনের কার্যকর চিকিৎসা পেতে চ্যালেঞ্জ এবং বাধা’ (‘Challenges and Barriers to Accessing Effective Treatment’)। বাংলাদেশে বহুদিন ধরে সর্পদংশন নীতিগতভাবে একটি স্বীকৃত গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। সর্পদংশন জরিপ তথ্য ১৫ বছরের পুরানো, নতুন জরিপ চলছে; সাপের তথ্য অপর্যাপ্ত। একটি জরুরী স্বাস্থ্য সমস্যা যাতে একাধিক সেক্টরের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। বাংলাদেশে সর্পদংশন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পৃথক কোন কর্মসূচি নেই। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ কার্যত অস্তিত্বহীন। অন্যান্য জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির মতো সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততা দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন মেডিকেল কোর্সে সর্পদংশন বিষয়ে শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণ ন্যূনতম। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অংশগ্রহণ সীমিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালে প্রণীত কৌশলপত্রের আলোকে বাংলাদেশে সর্পদংশনের কৌশলপত্র ও অর্থের ব্যবস্থাসহ সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা (২০২৩-২০২৮) সম্প্রতি প্রণয়ন করা হয়েছে যাতে ২০৩০ সাল নাগাদ সর্পদংশনে শতকরা ৫০ ভাগ মৃত্যু ও অক্ষমতা কমানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এতে ৪টি কর্মকৌশল আছে – ১) কমিউনিটি কে ক্ষমতায়ন ও নিয়োগ করা; ২) এন্টিভেনমসহ কার্যকর নিরাপদ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; ৩) স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর সফল করা; ৪) অংশীদারীত্ব, সমন্বয় ও সংস্থান বৃদ্ধি।

বাংলাদেশে সর্পদংশনের কার্যকরী চিকিৎসা পাওয়ার চ্যালেঞ্জ ও বাধার মধ্যে রয়েছে উপজেলা হাসপাতালে এন্টিভেনম ও লজিষ্টিকের অপ্রতিহত প্রাপ্যতা, নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত রোগী পরিবহন ও দক্ষ স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের উপস্থিতি। কিন্তু মনে হয় প্রথাগত নিরাময়কারীদের (‘ওঝা’) কার্যহীন-ক্ষতিকর চিকিৎসার উপর জনগোষ্ঠীর বড় ধরণের আস্থার মনোভাব আছে যা পরিবর্তন করা সব চেয়ে বড় বাঁধা।

উদাহরণ স্বরূপ ১লা সেপ্টেম্বর একজন তরুণ পুরুষ রোগী প্রথাগত নিরাময়কারীর চিকিৎসা নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে স্নায়ুতন্ত্রের উপর বিষের মারাত্মক উপসর্গসমূহ নিয়ে আসেন। যেখানে এন্টিভেনম দেয়ার পরে রোগীর অবস্থা এতোটা উন্নতি হয়েছিল যে রোগী যখন পরবর্তী রেফার করা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে ছিলেন, তখন উপস্থিত চিকিৎসক ভেবেছিলেন যে এটি একটি অবিষধর সর্পদংশন কারণ স্নায়ুতন্ত্রের উপর নিউরোটক্সিক বৈশিষ্ট্যগুলি ইতোমধ্যে পুরোটাই অদৃশ্য হয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যবশত বাড়িতে আসার পর রোগী আবার ক্ষতিকারক ও আকেজো চিকিৎসা পেতে ২য় বারের মত প্রথাগত নিরাময়কারীর কাছে ফিরে যান।

সর্পদংশনের পর কার্যকর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার জন্য কমিউনিটিকে জ্ঞানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ ও ক্ষমতায়ন করার বিকল্প নেই। কমিউনিটির মনোভাব পরিবর্তন করে সর্পদংশন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মৌলিক বিষয়সমূহ সঠিক প্রয়োগ করতে সরকারের পাশাপাশি সুশীল সমাজ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

অধ্যাপক মেডিসিন, সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ও ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন।

351 Views

আরও পড়ুন

শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় দুইজন খুনঃ আটক ৪

জামায়াত বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায় ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়-মাওলানা আবদুল হালিম

“মন করিডোরে আলোর মিছিল ” মানুষের হৃদয়ের কথা বলে – মো. ইলিয়াস

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কেমন হবে?

চকরিয়ার মজিদিয়া মাদরাসায় মাটি চাপা দেওয়া সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের নাম ফলক ৩দিনের মধ্যে পূণঃস্থাপনের নির্দেশ ইউএনও’র

শান্তিগঞ্জে নাইন্দারপাড় বিএনপি’র পক্ষ হইতে প্রবাসী নেতাকর্মীদের গণ সংবর্ধনা

ডা. এ জেড এম জাহিদ
‘৪৭ না হলে ৭১ হতো না, ৯০ না হলে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টও হতো না’

৬ ডিসেম্বরের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত

মিজানুর রহমান ভূঁঞা শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান

শান্তিগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্হায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির শুভ উদ্বোধন

বোয়ালখালীর দক্ষিণ কড়লডেঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

সিওয়াইবি’র বুটেক্স শাখার নেতৃত্বে রাফি–সৌমিক