নিজস্ব প্রতিবেদক জৈন্তাপুরঃ-
সিলেটের জৈন্তাপুর সাব রেজিস্ট্রারী অফিসের দলিল লেখক রফিক আহমদ এর বিরোদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ
শিরোনামে একটি নিউজ কয়েকটি অনলাইনে নিউজে প্রকাশিত হয় । নিউজটির অনুসন্ধানীতে জানা যায় জৈন্তাপুর
সাব রেজিস্ট্রারী অফিসের দলিল লেখক রফিক আহমদ যাহার দলিল লেখক সনদ নং ৩২ যিনি দীর্ঘদিন থেকে অত্যান্ত
সুনামের সহিত জমির ক্রেতা/বিক্রেতাদের সন্তোষ জনক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন । এলাকায় তিনি একজন সদালাপি ভালো
মানুষ হিসাবে পরিচিত । এবং তিনি নিজ এলাকা সহ অত্র উপজেলায় সর্বত্র দলিল লেখক রফিক আহমদ নামে
পরিচিত । কিন্তু অনলাইন নিউজে তাহার নামকে বিকৃতি করে তাহাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল উটে
পড়ে লেগেছ । তিনি এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
প্রকাশিত নিউজটির অনুসন্ধানে জানা যায় গত ২৬ জুন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পনাটুক মৌজা জে, এল নং
১৩৩ স্থিথ খতিয়ান নং ২৪৪ এর দাগ নং ৫ শ্রেণী পতিত এরিয়া ১.০০ একর ভূমির সরকারী মূল্য- ৪,৫০,০০০/=
(চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা এতে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিতে গিয়ে পর্চায় পতিত এর স্থানে আছরাউরা লিখে
মূল্য ১,০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকা লিখে রেজিস্ট্রি মূল্য ৭ হাজার টাকার পে অর্ডার নিয়ে সাব রেজিস্ট্রারের নিকট
দলিল দাখিল করেন বলে সংবাদ প্রচার হয় । জমির শ্রেনী পরিবর্তন হয়েছে এমন অভিযোগ রফিক আহমদ অস্বীকার
করেন। এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে জানান তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায় দলিল লেখক রফিক আহমদ এর অজান্তে শ্রেণী পরিবর্তন করিয়া উল্লেখিত দলিলের গ্রহিতা দলিল
রেজিস্ট্রারী জন্য সাব রেজিস্ট্রারের নিকট তাহার নিজ হস্থে সম্পাদিত দলিলটি দাখিল করেন । বিজ্ঞ সাব রেজিস্ট্রার
বিষয়টি সন্দেহজনক হইলে তাহা যাচাই করিয়া সম্পাদিত দলিলটি জাল প্রমাণীত হয় । পরে উল্লেখিত দলিল গ্রহিতা
সাব রেজিস্ট্রার এর সম্মুখে উল্লেখিত দলিলটির পর্চা জাল করিয়াছেন বলিয়া দায় স্বীক্ষার করিয়া নেন এবং সাব
রেজিস্ট্রারি অফিসে উপস্থিথ হয়ে তাহার এমন কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা চান ।