——
গ্রীষ্মকাল –
গড়ির গোটা ঘামের ফোটা,
ওই যে দাদুর কপাল বটা,
চাতালে বসে বাইছে পাখা,
আহ কি গরম মাথায় ছাতা।
পুকুর জলে সাঁতার কাটা,
শরবতে আজ লবণ কটা,
মুখ ভিজতেই বকছে যাতা,
পড়ছে যখন খবর পাতা।
বর্ষাকাল –
বর্ষায় স্যাত সেতে,
মেটোপথে চটি হাতে,
মন্ডুক সব ভেঞ্চি কাটে,
মা বকেছে ইচ্ছেমতে।
চালের উপর ঝড়ের ফোটা,
ভরপুর সব মাছের লোটা,
জাল টানছে বুড়ো বেটা,
আজ কি দারুন মুহূর্ত টা।
শরৎকাল –
কাশফুল সব রাশি রাশি,
দুলছে হাওয়ায় বাজাও বাঁশি,
নাচছে প্রজা নাচছে দাসী,
শরৎরানী বড্ড খুশি।
করিস না গো ঝগড়াঝাটি,
সবুজ মাঠে শীতল পাটি,
রেগে ভেগে আসছে হাতি,
দাদু বলছে পালাও নাতি।
হেমন্তকাল –
মাঠ এটেছে সোনালী চাষে,
কৃষক-সব বড্ড হাসে,
শিউলি,কামিনীর আসছে ভেসে,
গন্ধে মাতাল সমরেশে।
চন্দ্র এসে মুচকি হাসে,
রাতের আকাশ আলোয় ভাসে,
হিম পর্বতে দরবেশ বেশে,
ধ্যান করছে বসে বসে।
শীতকাল –
আয় সকলে আগুন পোহা,
মানছে না শীত গরম লোহা,
চাদর গায়ে বলছে জ্যাঠা,
গরম গরম শীতের পিঠা।
ভোর হতেই কারাকারি,
গাছ ভরা রস,ভরা হারি,
আয় সূর্য তাড়াতাড়ি,
খেতে দেবো গুড় মুড়ি।
বসন্তকাল –
গাছের ডালে কোকিল বসা,
ডাকছে কুহু আবেগ দশা,
মেঘ বালিকাও পাশে বসা,
দাদু দেখছে রং তামাশা।
শীতল হাওয়ায় দুলছি সবে,
চাইছে না মন ফিরতে ঘরে,
ইচ্ছে করে পাখনা মেলে,
উড়ে বেড়াই জগত জুড়ে।