বিচ্ছেদ বিভ্রাট
নাঈম হাসান
আব্বার ২য় সংসারে ছেলে আসে,আব্বা ভাগ হয়ে যান-ভাগ হয়ে যায় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি।
তাতে আমার মন খারাপ করেনি—আমি বরং ওসব সম্পত্তির কিচ্ছুটি চাই নি।
আম্মার ২য় সংসারে মেয়ে আসে,আম্মা ভাগ হয়ে যান-
মন খারাপ হয়-আম্মা ভাগ হয়ে গেছেন।আম্মা দূর সংসারি হয়ে গেছেন।
আমার একলা সংসারটার মানে জীবনটারে বৃত্ত,ত্রিভুজ,চতুর্ভুজ,পঞ্চভুজ আরো যা কিছু আছে জ্যামিতিতে,গণিতে,ক্যালকুলাসে,বিজ্ঞানে,সাহিত্যে,দর্শনে, —আমি তার কি বা নাম দিতে পারি?
গণিতেতো ভালোই ছিলাম-লেটারই পেয়েছি বরাবর,
জীবনের হিসাব আমার মেলে নাই—খবর শুধু হতাশার।
পিতৃতান্ত্রিক সমাজে যদিও বাপরে আমার সংসারে রাখি,আম্মাতো অন্য সংসারের অন্য জনের —তারে আমার রাজপ্রাসাদে (যদিও হয়)– তারে কেমন করে রাখি?
দুজনার আলাদা সংসারে আরো সন্তান আসবে-আব্বা আম্মা ভাগ হতে থাকবেন,
ভালবাসার আদর কিংবা অবহেলায় পাথরে
আমার দুচোখ কখনোই জলে ভেজাতে পারি নাই।
জীবনের হিসাব ভাগ্য আমারে মিলাতে দেয় নাই,
আমি বরং আমার একলা জীবনের মানে ‘না হওয়া সংসারের’ আমৃত্যু পর্যন্ত একটা আনকমন নাম খুঁজে যায়।
লেখক: নাঈম হাসান
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।