----------------
তখন ভাবতাম, আমাদের গ্রামের বাইরেই মনে হয়
পৃথিবীর সীমানা শেষ।
নদীর ওপাশে,যেথায় সূর্যাস্ত দেখা যেতো
মনে হতো পৃথিবী সেখানেই শেষ।
ভয়ে বের হতামনা গ্রাম থেকে।
কালের বিবর্তনে জানতে পারলাম, পৃথিবীর সীমানা ওখানেই শেষ নয়।
ভূলভাঙ্গা বয়স একদিন টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়
গ্রাম থেকে দুরে শহরে।
যেথায় প্যাকেটে মুড়ে বিক্রি হয় দুঃখ।
সেথায় দেখা যায় ক্ষুধায় কাতর বস্তি শিশুর মুখ।
মানুষ খেকো মানুষ। ক্ষত-বিক্ষত ধর্ষিতা নারী।
সেই শহরে বিনিময় ছাড়া সব সুখ সর্বস্বত সংরক্ষিত।
তখন সেই শহরটাকে মনে হয় দোজখ।
নিজেকে সেখানে নির্বাসিত অসহায়ের মতো লাগে।
আর আমার সেই আটটি পাড়ার ছোট্ট গ্রামটা মনে হয় আটটি বেহেশত।
আসলে নদীর ওপাশে দেখা সীমানার গন্ডিতেই আসল সুখ নিহিত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০