মোঃ সামিউল আলম, বিরামপুর (দিনাজপুর):
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নে অবস্থিত রঘুনাথপুর মহাবিদ্যালয়। সরকারের ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে আইসিটি সহ ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হলেও শর্ত সাপেক্ষে এমপিওভূক্তির সম্ভাবনা থাকলেও ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বারবার এমপিওভুক্তির তালিকা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মনে এক ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ১৯৯৯ সালে এই রঘুনাথপুর মহাবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালে পাঠদানের অনুমতি এবং ২০০৪ সালে এটি স্বীকৃতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এই সম্প্রদায়ের ৪১ জন সহ ২০৯ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যায়নরত রয়েছে।
এছাড়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ফলাফলের গড় অনুপাতের হার প্রতি বছরে ৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ ৪০ জন এবং পাশের হার প্রায় ৬৪ শতাংশ। উপজেলার ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে সবদিক বিবেচনায় বর্তমানে সেরা অবস্থানে থেকেও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমপিওভুক্তির তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছেনা অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠার ২০ বছর অতিবাহিত হলেও ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কবে এমপিওভুক্তি হবে এই নিয়েও দুশ্চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ মোশারফ হোসেন জানান, রঘুনাথপুর মহাবিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তির সকল শর্ত পূরণ করা হলেও কি কারণে তা হচ্ছেনা এটি সত্যি রহস্যজনক এবং দুঃখজনক। প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষভাবে একটি তদন্ত টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তির দাবি জানান তিনি।
অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান আরো জানান, ২০১৬ সালে চিকিৎসার অর্থের অভাবে পাকস্থলি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে সমাজকর্ম বিষয়ের প্রভাষক হাবিবুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমানে তার পরিবারটি অভিভাবকহীনতায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছেন। সুতরাং, সবদিক বিবেচনা করে সরকারের পরবর্তী গৃহীত এমপিওভুক্তি করনের তালিকায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ এলাকার সাধারণ জনগণ।