স্থানীয় পুরান বাজার এলাকার আজ বিকেলের দৃশ্য ।
আজিজুল হক আজু, মাতারবাড়ী (মহেশখালী):
চার দিকে যখন লক ডাউন!! তখন মহেশখালী উপজেলার ০১ নং মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মানুষ পুরোপুরি অসচেতন বা কতেক শ্রেণীকে গাদ্দার বললেও ভুল হবেনা । তারা দেশের আইন কানুনকে পাত্তাই দিচ্ছেনা । স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণাকে তারা অবজ্ঞা ও অবহেলায় মেতে ওঠেছে। মাতারাবাড়ীতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের ঢল, কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের চলাচল। বিচরণ করছে পুরো মাতারবাড়ী চায়না সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। প্রশাসনের তেমন নজরদারিতে নেই মাতারবাড়ীতে! সরকারী নিয়ম ও আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অলিতে গলিতে জমেছে আড্ডা; খেলছে শিশুরা! থেমে নেই বড়রাও।
সমুদ্র সৈকতে ফুটবলার ক্রিকেটারের ঢল। সাথে তো আছেই দর্শনার্থীদের জনসমাগম। মনে হয় মাতারবাড়ীতে করোনা উৎসব চলছে।।
অন্যদিকে…
দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা থাকলেও, অসাধু ব্যবসায়ীরা মানছেন না, সরকারি নির্দেশনাবলি। সরেজমিনে দেখা যায়..কিছু কিছু দোকান বন্ধ আছে ঠিকই,কিন্তু টকটক করে টুকা দিলে ভিতর থেকে একটা গাইবি আওয়াজ আসে “কি লাগবে। সচেতন আর হলাম কই, নির্দেশনা আর মানছে কোথায়??
আজ বিকাল বেলা মাতারবাড়ীর প্রবেশদ্বার দক্ষিণ রাজঘাট ব্রিজ সংলগ্ন বাজার থেকে তোলা ছবি ।
সরকার সেনাবাহিনী নামানোর পরও তাদের কাজ এখনও অলিতে গলিতে শুরু হয়নি। যে কারণে সাধারণ মানুষ সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অলিতে-গলিতে তুমুল আড্ডায় মেতেছে।
শুধু নিজেরাই যে আড্ডা মারছে তা নয়, শিশুদেরকেও রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে! অবুঝ শিশুরা একটু খেলার সুযোগ পেয়ে ছুটোছুটি করে বেড়াচ্ছে। পথচারীরা হেঁটে যাচ্ছে। কারও কোনো বিকার নেই। করোনাভাইরাস বাতাসেও ছড়ায়। তাই প্রবল ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে গোটা বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর একমাত্র উপায় ঘরে আব’দ্ধ থাকা। সরকারের এতো পরিশ্রমের কি কোনো মুল্যই নেই?
সচেতন মহল এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত অভিযান পরিচালনার আহবান জানান।।