মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
১৪ সেপ্টেম্বরের আগে করা পেঁয়াজের এলসির চালানগুলো বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর ভারতের সরকারি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন কলকাতার রপ্তানিকারক অনিল ঠাকুর।
পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে আদালতে রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে খোলা এলসির সংখ্যা ও পরিমাণ রপ্তানিকারকদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
কলকাতার রপ্তানিকারক অনিল ঠাকুর জানান, মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এ বিষয়ে দেশটির রপ্তানিকারকরা গত ২৫ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ের আদালতে রিট আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত বাণিজ্য মহাপরিচালক বিজয় কুমার স্বাক্ষরিত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সেখানে গত ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে যেসব এলসি করা হয়েছে তার সংখ্যা এবং তাতে পেঁয়াজের পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভারতের আঞ্চলিক বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে রপ্তানিকারকদের বলা হয়েছে।
সে অনুযায়ী বাংলাদেশের আমদানিকারকদের পেঁয়াজের এলসির কপি ওই দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর এ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত আসবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অনিল ঠাকুর।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও মোজাম হোসেন জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে এলসি করা পেঁয়াজের চালানগুলো বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে। এ ব্যাপারে ভারতের রপ্তানিকারকরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ জন্য আমাদের আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ভারত গত ১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের মতো হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
মাঝে ১৮ সেপ্টেম্বর এক সিদ্ধান্তে শুধুমাত্র ১৩ সেপ্টেম্বর এলসি করা পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারত। পরে সীমান্তে আটকে থাকা ১১ ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ১৯ সেপ্টেম্বর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে, যার অধিকাংশই ছিল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ।