মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
বর্ষা মৌসুমের কারনে এবারে খানিকটা আগে ভাগেই দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে মন্দিরে মন্দিরে বেশ জোরে সোরেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছে কারিগররা। আর তাই শিল্পীরা রং তুলি দিয়ে ফুটে তুলছে প্রতিমার উজ্বলতা। সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে ২০ টি শারদীয় দূর্গাপুজার প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমা রংঙ্গের কাজ শুরু করেছে রং শিল্পীরা।
হিন্দু ধর্মবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব। প্রতি বছরই হিলি সীমান্ত এলাকা উৎসব মুখরিত হয়ে ওঠে। দর্শনার্থীদের ভীড়ে সীমান্ত এলাকা পরিনত হয় দুইবাংলার মিলন মেলায়। পুজা উদযাপনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা । তারা আশা করেন সীমান্তে এবারও সারদীয় দূর্গাপুজা হবে উৎসব মুখর পরিবেশে।
রং শিল্পী রাজ কুমার বলেন,প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা ৬ টি পুজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে পেয়েছি।সব মন্দিরে পুজা তৈরির কাজ শেষ করেছি।সেই সাথে রংয়ের কাজও শুরু করেছি।তিনটি মন্দিরে রংয়ের কাজ শেষ।আশা করছি আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে প্রতিমার রংয়ের কাজ শেষ করে বাড়ী ফিরবো।
রং মিস্ত্রি সুশান্ত কর্মকার জানান,শরদীয় দূর্গাপুজা আমাদের ধর্মীয় উৎসব।আমরা মনের আনন্দে রং-বেরং দিয়ে প্রতিমাগুলোকে মনের মত করে রাঙ্গিয়ে তুলছি।
পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনার্ধন চন্দ্র রায় বলেন,এবারে দর্শনার্থীদের অনুরোধেই প্রতিমার আকার বড় করা হয়েছে, আর এ কারনে প্রতিমা তৈরিসহ আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন উপকরনের বাজেট বাড়িয়ে দিয়েছেন উদযাপন কমিটি।
ভারতীয় দর্শনার্থীদের আগমন বেড়ে ওঠে। গেলো বারের চেয়ে আয়োজন বাড়ানো হয়েছে। সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পুজা উদযাপন করতে পারবেন তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০