মোস্তাকিম হোসেন,হিলি স্থলবন্দর সংবাদদাতা:
সীমান্তবর্তী উপজেলা হিসেবে পরিচিত হিলি-হাকিমপুর। আর এই উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের খাট্টাউছনা গ্রামে স্বামী,এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন হালিমা। নিজের শেষ সম্বল মাত্র ৩ শতক জায়গা । সেই জায়গাটিতে স্বামী সন্তানকে নিয়ে থাকার জন্য বাঁশ খড়ি দিয়ে বেড়া এবং তাতে কাদা মাটি লাগিয়ে তৈরি “ছিটার দুইটি ঘর।
এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুয়াতনের ঘোষনা করা হলেও বিদুৎ নেই হালিমার ঘরে । কষ্টের তৈরি সেই ঘর গুলো বর্ষাকালের পানি পড়ে ভেঙ্গে যাওয়া একটি ঘর। মহামারী করোনার মধ্যে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন হালিমার স্বামী সন্তানেরা। জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের মাধ্যমে গরীবদের বাড়ি তৈরী করে দিলেও হালিমার ভাগ্যে জোটেনি কোন বাড়ি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,খাট্টাউছনা বাজার থেকে পূর্ব দিকে রাস্তার পার্শ্বে একটি বাড়ি। ভিতর গিয়ে দেখা যায় একটি ঘর একবারেই ভেঙ্গে পড়েছে আর একটি ঘরের পূর্ব দিকের দেওয়াল ভেঙ্গে গেছে যেখানে ছিড়া কাপড়,টিন আর বাঁশের খড়ি দিয়ে জোড়াতালি দিয়েই থাকে সেই পরিবারটি। একই ঘরে থাকে হালিমার স্বামী বড় মেয়ে ও ছেলে।
কথা হয় হালিমার সাথে তিনি জানান, কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলে উঠলো ভাই রাতে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আতংকে থাকি। কখন যে ঝড় আসে আর কখন যে বৃষ্টি হয়। সব মিলে রাত কাটে আতংকে। দেখার কেউ নেই,খুব কষ্টে আছি। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে গেলে আমাকেও কিছুই দেয় না। ঘরে থাকার মত বুদ্ধি নেই। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমাকে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দিলে আমার উপকার হতো।
স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি হালিমা বেগম অনেক কষ্ট করে চলছে। থাকার যে ঘরগুলো ছিলো সেগুলো এখন ভেঙ্গে পড়ছে। রাস্তা পার্শ্বে বাড়ি হওয়ায় যাতায়াত করতে আমরা দেখি। সরকার যদি তার জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে তার অনেক উপকার হতো।
হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনেছি। জমি আছে, ঘর নেই এই প্রকল্পের আওতায় দ্রুত তার ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, সরেজমিনে গিয়ে দেখবো এবং তার যদি নিজস্ব জায়গা থাকে সেখানে জমি আছে,ঘর নেই এই প্রকল্পের আওতায় দ্রুত গৃহনির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও সে যদি অন্যন্যে ভাতা পাওয়ার মত যোগ্য হয় তাহলে সেগুলোও ব্যবস্থা করা হবে।