ফরহাদ আমিন:
সেন্টমার্টিনের অদূরে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ১১৮ জনযাত্রীসহ ৪ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।এসময় একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে শিশু ১৫,নারী ৫৯ ও পুরুষ ৪৪ জন রয়েছেন।বৃহম্পতিবার দুপুরে সেন্টমার্টিন থেকে ১০কিলোমিটার দক্ষিন বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম সোহেল রানা।তিনি জানান,দুপুরে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার জোসেল রানার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়।এসময় ১৫ শিশু, ৫৯ নারী ও ৪৪জন পুরুষসহ ১১৮জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় একটি মিনি কার্গো ট্রলারসহ চার মাঝিমাল্লাকে আটক করা হয়েছে।মাঝিমাল্লারা হলেন,বালুখালী ক্যাম্পের আমান উল্লাহ (৪৩),একই ক্যাম্পের জাহাঙ্গীর আলম(৩৬),একই ক্যাম্পের আতাউল্লাহ(২৬), থাইংখালী ক্যাম্পের মোঃ ইসলাম(৩২)।
প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন।
তাদের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার যাত্রীরা জানান,দালাল মালয়েশিয়া অবস্থানরত রোহিঙ্গা হামিদ,ক্যাম্পের দালাল কেফায়েত উল্লাহ,সদর রাজারছড়া এলাকার আরব আলী ও নুরুল আমিনের মাধ্যমে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাহির করে আনা হয়। তাদের টেকনাফের বাহারছড়া নোয়াখালী বাঘঘোনাসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। মালয়েশিয়া অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে স্থানীয় দালাল চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ট্রলারে তুলে দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি১০হাজার থেকে৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।বাকি টাকা মালয়েশিয়া পৌঁছানোর পর তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন,সেন্টমাটিন থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা১১৮জন মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গাসহ চার মাঝিমাল্লাকে আটক করেছেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক স্থানীয় দালালের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য জড়ো করা হয়।তাদের কে স্ব-স্ব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।