এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ভুরুঙ্গামারীর গছিডাঙ্গা দলবাড়ি জামে মসজিদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান ঘটাল ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শওকত আলী। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা মৌজার দলবাড়ি নামক স্থানে এলাকার মৃত ছলিমুদ্দিন মুন্সী মুসল্লীদের নামাজের জন্য ১৯৭৭ সালে ৬ শতক জমি দান করলে সেখানে গছিডাঙ্গা দলবাড়ি জামে মসজিদ নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করে এলাকার লোকজন নামাজ পড়ে আসছিল।
এদিকে ১৯৮৯ সালের সময় ভুরুঙ্গামারী মাদারগঞ্জ পাকা সড়ক ও সোনাহাট সেতু চালুর পর এলাকায় পাকারাস্তাটির গুরুত্ব বেড়ে গেলে এলাকাবাসী ঐ মসজিদটি পাকা রাস্তা সংলগ্ন নির্মাণ করে নামাজ আদায় করে আসছে। এদিকে ঐ দাগভুক্ত জমি বিভিন্ন জনের নিকট হস্তান্তর হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ঐ দাগভুক্ত জমি নিয়ে বিরোধ এক মুক্তিযোদ্ধা ও জনৈক আব্দুল গফুর মৌলভীর সংঘর্ষ বাধে এবং মসজিদের জমি তাদের দাবী করে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয় এবং জমির পুর্ব মালিকের ওয়ারিশ মৃত আব্দুল গণীর পুত্র ময়নাল হক ও জয়নাল আবেদীন মসজিদের পাশে থাকা কয়েকটি মুল্যবান গাছ কেটে নেয়। এ নিয়ে মুসল্লীদের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে দুটি জামাতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব প্রাপ্তির পর উক্ত সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ শওকত আলী কয়েকদফা তদন্তের পর বিরোধ নিরসন কল্পে বাদী-বিবাদী পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিষয়টি নিস্পত্তি করে মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধের অবসান ঘটান।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর মোসলেম উদ্দিন জানান, সহকারী পুলিশ সুপারের সার্বিক প্রচেষ্ঠায় এঘটানার নিস্পত্তি হয়েছে। তার অবদান এলাকাবাসী চিরদিন স্মরন করবে।
উল্লেখ্য মোঃ শওকত আলী ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভুরুঙ্গামারী ও কচাকাটা থানার প্রায় শতাধিক জমিজমা নিয়ে বিরোধের অবসান সহ বাবুরহাটে এক ব্যবসায়ীর দোকান ঘর বেদখল হলে তার উদ্ধার করে দিয়ে ইতিমধ্যে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন।
ভুরুঙ্গামারী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট দীর্ঘদিনের মসজিদ নিয়ে বিরোধের অবসান করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কিছু সংখ্যক টাউট বাটপার ও ভুমিদস্যুদের প্ররোচনায় মসজিদের জমি নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হওয়ার পর দুপক্ষের লোকজন মামলা দায়ের করে। পরে আমি একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে টাউটবাটপার ও ভুমিদস্যুদের কবল মুক্ত করতে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মিমাংসা করে দেই। এতে এলাকায় সকলের মাঝে আবার ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে বলে আমি মনে করি।