শেখ রিপন, সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরা সদররে ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর ও ফিংড়ী ইউনিয়নের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে সর্বনাশা মাদকের বিষবাষ্প। চলছে জুয়ার আসরও। হচ্ছে চুরি-ছিনতাই। সাধারণ মানুষ হচ্ছে হয়রানি।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথার জিয়াদ আলী, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের ছলেমান, মিন্টু, শুকুরআলী, ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল গফুরসহ এ তিন ইউনিয়নের একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা ধুলিহর ইউনিয়নের তালতলা, গোবিন্দপুর বাজার, সুপারিঘাটা, চাঁদপুর বাজার, বালুইগাছা, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের মাছখোলা বাজার, ব্রহ্মরাজপুর বাজার, ও শ্মশানঘাট, দহাখোলা ইটেরভাটার মোড়, বেলতালা মোড়, গীতাদাশের বাঁশবাগান, ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর বাজার ও মোড়, বালিথা সামাদের মোড়, ফয়জুল্লাহপুর বাজার, ফিংড়ী বাজার, গাভা, ব্যাংদহা বাজার, জোড়দিয়া, গোবরদাড়ি, কুলতিয়াসহ বিভিন্ন অলি গলিতে গাঁজা, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রয় করে থাকে। এই মাদকের মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে যুব সমাজ তলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে। বাদ পড়ছেনা স্কুল, কলেজের ছাত্ররা। তারা মাদকের টাকা যোগাড় করতে হাতের কলম ফেলে দিয়ে হাতে তুলে নিচ্ছে মরণ অস্ত্র জড়িয়ে পড়ছে চুরি ডাকাতি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে বেপাকে পড়ছে অভিভাবকরা। ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ীতে এসআই হাসানুর রহমানের যোগদানের পর এই তিন ইউনিয়নে দুই এক জন মাদক সেবনকারীকে আটক করলেও কোন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারিনি বলে একটি সুত্র জানায়। সুত্র জানাায়, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ীর কনস্টেবল আনোয়ার ফাঁড়িতে প্রায় ৩ বছর থাকার কারণে ঐ সব মাদক ব্যবসায়ীদের সংগে তার একটি সুসম্পর্ক তৈরী হয়। এরই সুবাদে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে নাকি মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকা সূত্র জানায় এই ফাঁড়িতে এসআই হাসানুর রহমানের যোগদানের পর কোন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে না পরায় এলাকায় চুরি ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় রাতে হচ্ছে চুরি। রাস্তায় হচ্ছে ছিনতাই। ইতোমধ্যে বালিথার নুর ইসলামের বাড়ি, ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছা গ্রামের শহিদুল থান্দারের বাড়ি থেকে মটর, তালতলা গ্রামে রেজউলের বাড়িতে, তালতলা সাদ্দামের দোকানে গোবিন্দপুর জব্বারের বাড়িতে, ধুলিহর নাথপাড়া যাত্রাশিল্পী শংকরী হাজারির বাড়িতে, সাংবাদিক সাঈদের বাড়িতে, ধুলিহর পুরাতন বাজার খোলা রফিকুলের বাড়ি থেকে মটরভ্যান, কুলতিয়ার মিস্ত্রীর বাড়িসহ এই তিন ইউনিয়নের একাধিক বাড়িতে চুরি ছিনতাই হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, রাতে পুলিশ টহল না থাকায় এলাকায় চুরি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ এখন চুরি ও ছিনতাই আতঙ্কে ভুগছে। এব্যপারে এসআই হাসানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি যে রাতে টহলে যাই, সে রাতে কোন চুরি হয়না। এলাকার সচেতন মহল চুরি ও মাদক ব্যবসা বন্ধসহ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।