ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর পথে মানব পাচারকালে২৯জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।এসময় পাচারে জড়িত এক রোহিঙ্গাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র একটি চাকু, একটি মোটর সাইকেল ও একটি ইঞ্জিন চালিত সাম্পান নৌকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোজাহার মিয়ার ছেলে মোঃসলিম(৩৫), একই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে
মোঃনুরুল আবছার(১৯)ও উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের ব্লক-এফসিএন নম্বর-১৪৬৭৯১বাসিন্দা করিমুল্লাহ ছেলে মনসুর আলম(২২)।
পলাতক আসামিরা হলেন,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালিয়া পাড়ার আব্দুল হাসিমের ছেলে মোঃমাহমুদুল হক (৩১),একই এলাকার আলী আহমদের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম (৩৭)ও আব্দুল হাসিমের ছেলে আজিজুল হক(৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ২-ব্যাটালিয়ন(বিজিবি)অধিনায়ক লেঃকর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান,মঙ্গলবার(২১অক্টোবর)সন্ধ্যায় মেরিন ড্রাইভ সৈকত এলাকায় ২৯জনকে একটি নৌযানে সাগর পথে পাচারের জন্য প্রস্তুত করছে।এমন তথ্যে তারই নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা ঐ অভিযান চালায়।এসময় ২৯জন ভুক্তভোগীদের অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক সমুদ্র যাত্রা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করা হয়।ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ মানব পাচার চক্রের তিন মূলহোতাকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়।
লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান আরও জানান,টেকনাফ সীমান্তে মানব পাচারকারী-সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রগুলোর জন্য একটি চরম দুঃসংবাদ বহন করে এনেছে। আমরা ভোরে পাহাড়ের দুর্গম চূড়া থেকে জিম্মি উদ্ধার করেছি এবং সন্ধ্যায় সমুদ্র উপকূলে মানব পাচার বানচাল করেছি।সর্বশেষ দুইটি সফল মানব পাচার বিরোধী অভিযানের মাধ্যমে বিজিবি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সমুদ্রের জলসীমা পর্যন্ত কোনো অপরাধীর জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়। মানবতা বিরোধী এমন জঘন্য অপরাধ আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করব না।আমাদের এই ধারাবাহিক ও কঠোর নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উদ্ধারকৃত২৯জন ভুক্তভোগীকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আটক মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।