শহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম :
গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন’কে হত্যা, সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবিতে পটিয়া মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে পটিয়া প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে থানার মোড় চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় ইদ্রিস মিয়া বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তিকে নয়, পুরো গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রকে আঘাত করে। দেশে মুক্ত সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে হলে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। বিএনপি সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে।
ডা. এমদাদুল হাসান বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রমাণ করে দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আজ ভয়াবহভাবে সংকুচিত। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সাংবাদিকরা নিরাপদ না থাকলে জনগণের কণ্ঠস্বরও নিরাপদ থাকে না।
প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিউল আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া, দক্ষিণ জেলা গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাঃ এমদাদুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ, পরিবেশক সমিতির সাবেক সভাপতি এসএম হারুনুর রশিদ, ভাটিখাইন উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আশিকুল মোস্তফা তাইফু, সচেতন নাগরীক কামরুল ইসলাম, পৌর এলডিপির সভাপতি গাজী আমির, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল নেতা মো. তারেক রহমান, যুব অধিকার পরিষদের উপজেলা সভাপতি আরাফাত, ইসলামী আন্দোলন পৌর সভাপতি সোহারাব হোসেন ইমন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন, ইনসানিয়াত বিপ্লব ছাত্র ফ্রন্টের সেক্রেটারি সজিব মোকাররম, ইমরান হোসেন, পটিয়া পশ্চিম শিবির সভাপতি মো. জিহান, ব্যাংকার আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিকদের মধ্যে, বিকাশ চৌধুরী, আনম সেলিম, মোরশেদ আলম, জাবের বিন রহমান আরজু, মহিউদ্দিন চৌধুরী, রনি কান্তি দেব, শহিদুল ইসলাম, ওসমান গনি, টিপু, আরাফাত হোসেন, মো. তারেক, গিয়াস উদ্দিন, সঞ্জয় সেন, আশিকুল ইসলাম, ইমরান হোসেন মুন্না, মাসুম আকবরি আকাশ, রাশেদুল ইসলাম, রাশেদ চৌধুরী, তানভির রহমান, আরমান।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। দেশে ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে, যা গণতন্ত্রের জন্য গুরুতর হুমকি। তারা বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে তুহিন হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।