এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
এমপিওভুক্তির জন্য সরকার চাহিত সকল শর্তপুরণ ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার একমাত্র গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ হিসেবে নারী শিক্ষায় বিষেশ অবদান রাখলেও এমপিওভুক্ত হয়নি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ‘মধ্যকুমরপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ’।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নারী শিক্ষার একমাত্র ও অন্যতম বিদ্যাপীঠ ‘মধ্যকুমরপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ’। কলেজটি ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে। ইতোমধ্যে জেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করে সুনাম বয়ে এনেছে। কিন্তু কলেজটি এমপিওভুক্ত না হওয়াতে এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা মানসিকভাবে হতাশ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন।
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির যুগে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক ও কর্মচারীগন আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সর্বশেষ গত ২৩ অক্টোবর সরকার ঘোষিত এমপিওভুক্তির তালিকায় এই কলেজের নাম না থাকায় চরম হতাশা ব্যক্ত করছেন এলাকাবাসী ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে মধ্যকুমরপুর গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা হবার পর ২০১২ সালে কলেজ শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর মধ্যকুমরপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হলে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবল আগ্রহ তৈরী হয়।
যা বিগত ৭ বছরে এই প্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা মাইল ফলক হয়ে আছে। কলেজকে ঘিরে দরিদ্র এ অঞ্চলের শ্রমিকের সন্তানেরা উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন, যা জেলা শিক্ষার অগ্রগতির ইতিহাসে এই কলেজের অবদান অগ্রগণ্য।
মধ্যকুমরপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সুনামের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে। একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে স্কুল এন্ড কলেজটি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (কলেজ) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
এই কলেজের শিক্ষার্থীরা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করছে।
কলেজ শাখার প্রভাষক আব্দুর রশিদ জানান, এমপিওভুক্তির আশায় দীর্ঘদিন ধরে খেয়ে না খেয়ে শিক্ষাদান করেও কোন বেতন না পাওয়ায় তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ এই স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখাটি সব যোগ্যতা অর্জন করার পরও গত গত ২৩ অক্টোবর নতুন এমপিওভুক্তির তালিকায় থাকেনি। এতে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন।
স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখাটি যথাশীঘ্রই এমপিওভুক্ত করা হলে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন বাড়বে, তেমনি অবহেলিত এই প্রতন্ত অঞ্চলে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
এই কলেজে বর্তমানে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। কলেজটিকে দ্রুত এমপিওভুক্ত করার দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।