রাকিবুল আওয়াল পাপুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক হত্যা মামলার প্রধান আসামি নুরে আলম সিদ্দিকীর ৬ সহযোগী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) এসএম হুমায়ুন কবীর উভয় পক্ষের শুনানী শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা হচ্ছেন সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর চকপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহা (২১) ও শফিকুল আলম (৫২), রঘুনাথপুর দড়িপাড়া গ্রামের আজাদ মিয়া (৩৮), চকআন্ধারিয়ার মো. হানিফ মিয়া (৩৪), রঘুনাথপুর দীর্ঘপাড়ার সেলিম মিয়া (৩৪) ও আন্ধারিয়া কামারপাড়ার মো. বাবু মিয়া (৩০)। একইদিন আদালত অসুস্থ ও বয়স্ক বিবেচনায় প্রধান আসামির বাবা গোলাম কুদ্দুস (৭০) ও সরকারি চাকরিজীবী বিবেচনায় মো. বোরহান উদ্দিন (৫৬) কে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতের ওই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিজেএম কোর্টের সিনিয়র এপিপি এ্যাডভোকেট মজদুল হক মিনু জানান, চাঞ্চল্যকর আব্দুল খালেক হত্যা মামলার ওই আসামিরা উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক গত ৩১ জুলাই থেকে ৬ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের ওই সময়সীমা শেষ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আসামিরা সোমবার সিজেএম আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
আদালত উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানী শেষে ৬ জনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এবং বয়স্ক বিবেচনায় অপর ২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২ জুলাই বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর চকপাড়া এলাকার আব্দুল খালেককে সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর (৪৫) নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে।
১৫ দিন পর আইসিইউতে থাকার পর ১৭ জুলাই মারা যান খালেক। ওই ঘটনায় খালেকের স্ত্রী আসমাউল হোসনা বাদী হয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীকে প্রধান আসামী করে তার সহযোগীসহ ২২ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ইতোমধ্যে ৩ জন গ্রেফতার হলেও প্রধান আসামিসহ অন্যরা এখনও পলাতক রয়েছে।