সাত্তার সিকদার, লোহাগাড়া,চট্টগ্রামঃ
২৪ বছর ধরে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছিলো চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার রেমিট্যান্স যোদ্ধা ওসমানুল হক।
৩১আগষ্ট (শনিবার) সৌদি আরব সময় আনুমানিক রাত ৮ টার সময় সৌদি আরবের আবাহা এলাকার স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সৌদি প্রবাসী মামাতো ভাই মোহাম্মদ আমির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত মোহাম্মদ ওসমানুল হক (৫২), লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের জিএম সিকদার পাড়ার আলা মিয়ার পুত্র। তিনি ৩ সন্তানের জনক।
নিহতের ছোট ভাই লোকমান হাকিম জানান, আমার বড় ভাই ওসমানুল হক প্রয় ২৪ বছর ধরেই সৌদি আরবে আছেন। তিনি প্রথমে সৌদি আরবের মাহাইলের আছিল এলাকায় ব্যবসা করতেন,পরে মদিনা শহরে ব্যবসা শুরু করেন।
নিহতের আরেক ভাই সৌদি প্রবাসী নেছার উদ্দিন জানান, আমাদের বড় ভাই দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের আবাহার আছিল এলাকায় ব্যবসা করতেন । উক্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মদিনা মনোয়ারায় যৌথ মালিকানায় ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই ঐ যৌথ ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। পরে মদিনায় যৌথ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে পুনরায় আবাহাস্থ পুরাতন দোকান চালু করার জন্য কাজ শুরু করে এরিমধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হলে স্থানীয়রা একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় জানতে পারি আমার ভাই স্ট্রোক করেছেন।
নিহতের সৌদি প্রবাসী ভাই আরমান জানান, আমার বড়ভাই ওসমান গত বৃহস্পতিবার রাতে মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার মক্কা শরীফ এসে ওমরা হজ্ব পালন করে এবং হেরম শরীফে জুমার নামাজ আদায় করেন। শনিবার আবাহাস্থ পুরাতন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় সৌদি নাগরিক হাসপাতালে ভর্তি করান। ৩১ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।
মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বাংলাদেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি। আইনি কোনো জটিলতা না থাকলে আমার ভাইয়ের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিব।
এদিকে ওসমানুল হকের মৃত্যুর খবরে পরিবারের সদস্যদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। নিহত ওসমানের স্ত্রী সন্তানদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। পরিবারে শুধু কান্নার রোল।